বৃহস্পতিবার   ০২ মে ২০২৪   বৈশাখ ১৮ ১৪৩১   ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

 কুষ্টিয়ার  বার্তা
সর্বশেষ:
প্রবৃদ্ধির দৌড়ে চীন মালয়েশিয়ার চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে বাংলাদেশকে ১২১ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে এডিবি ট্রেড ইউনিয়ন গঠনে শ্রম আইন সংশোধন করা হচ্ছে : আইনমন্ত্রী রেডিয়েশন প্রয়োগে ঘরেই সংরক্ষণ করা যাবে পেঁয়াজ চিকিৎসকরা অফিস টাইমে হাসপাতালের বাইরে গেলে ব্যবস্থা শ্রমিক-মালিক সুসম্পর্ক রেখে উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
৪২৮

মেহেরপুরে সরকারি উদ্যোগে নির্মিত হচ্ছে বিনোদন কেন্দ্র

প্রকাশিত: ২৮ জানুয়ারি ২০২৩  

মেহেরপুরের ঐতিহ্যবাহী এলাকা গড়পুকুর। বর্গীদের অত্যাচার থেকে বাঁচতে গড়পুকুরে রাজা গোয়ালা চৌধুরী সমগ্র বাড়ির চারপাশে পরীখা খনন করেন। যার ধ্বংসাবশেষ মেহেরপুর এই গড়পুকুর কালেরসাক্ষী হয়ে এখনো টিকে আছে। ঐতিহ্যবাহী গড়পুকুরকে আকর্ষণীয় বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে মেহেরপুর পৌরসভা।  

জানা যায়, মেহেরপুর পৌর মেয়র ও জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান রিটনের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে ১১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ১১ বিঘার গড়পুকুরকে বিনোদন কেন্দ্রে রূপান্তর করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে কাজ অনেকটা দৃশ্যমান। নির্মাণ কাজ শেষ হলে ঐতিহাসিক গড় পুকুর হবে জেলার অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র।

২০০৮ সালে সাবেক পৌর মেয়রের সময় কোটি টাকা ব্যয়ে গড়পুকুরে ক্যাবলকারসহ নাগরদোলা দিয়ে বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তুলেছিলেন। ক্যাবলকার পুকুরের মাঝখানে বন্ধ হয়ে শিশুরা আটকে যাওয়ায় এবং নাগরদোলা মানসম্মত না হওয়ায় মানুষ বিমুখ হয়ে পড়েন এটি বন্ধ হয়ে যায়। সে সময় গড়পুকুর পাড়ে মাছ ব্যবসায়ীরা মাছের বাজার তৈরী করেন। তাতে গড়পাড়ের পরিবেশ দুষিত হয়ে পড়াও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ হবার আরও একটি কারণ বলে মনে করেন অনেক পৌরবাসী।

বর্তমান মেয়র রিটন নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন গড়পুকুরকে ঘিরে পৌরবাসীর জন্য বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তুলবেন। সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি‘র) অর্থায়নে। প্রাক্কলিত মূল্য ১৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা ধরা হলেও ঠিকেদারি প্রতিষ্ঠান বগুড়ার মেসার্স মাসুমা বেগম এন্টারপ্রাইজ  চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন ১১ কোটি ৫৬ লাখ টাকায়। কাজ দৃশ্যমান হয়েছে। জুনের মধ্যে শেষ হবে বলে ঠিকেদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. মিলন আশা প্রকাশ করছেন।  

মেয়র রিটন জানান- বিভিন্ন কারনে গড়পুকুরকে ঘিরে বিনোদন কেন্দ্র নির্মাণ এতদিন আটকে ছিলো। বিভিন্ন দেশের পুকুর ও নদীভিত্তিক  বিনোদন কেন্দ্র দেখে নকশা করা হয়েছে। এটি নির্মাণ হলে খুলনা বিভাগের মধ্যে এটি হবে এক ব্যতিক্রম বিনোদন কেন্দ্র। বিনোদন কেন্দ্র শিশুদের সামাজিকীকরণে বড়ই প্রভাব ফেলে। আমাদের শিশুদের ভাবনার সীমাবদ্ধতাকে দূর করতেই গড়পুকুরকে কেন্দ্র করে বিনোদন কেন্দ্র গড়ার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। তিনি জানান- গড়পুকুরের সৌন্দর্যবর্ধনে ঢাল সুরক্ষা বেস্টনি, থাকবে গণমানুষের জন্য দু’টি পাবলিক টয়লেট, নিরাপত্তা রক্ষীর কামরা,শিশুদের বিনোদনের ব্যবস্থা, পুরো গড় এলাকা হবে সবুজ বেস্টনি, পুকুরের চতুর্দিকে ওয়াকওয়ে, পুকুরের দক্ষিণ দিকে থাকবে নাট্যমঞ্চ, থাকবে চারদিক জুড়ে কংক্রিট বেঞ্চ, দুটি ফুড কর্নার, নারী-পুরুষের জন্য আলাদা চেঞ্জিং রুম, দু’টি কফি হাউজ, গড়ের মাঝখানে ওভারব্রিজ,পুরো পুকুর জুড়ে থাকবে ৭টি সিঁড়ি, গাড়ি পার্কিং এর ব্যবস্থা, শিশুদের বিনোদনের জন্য থাকবে বিভিন্ন ধরণের রাইড, টিকিট কাউন্টার ইত্যাদি।

মেহেরপুরের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মাহবুবুল হক মন্টু জানান, এই বিনোদন কেন্দ্র নির্মিত হলে গড়পুকুর, মুজিবনগর স্মৃতি প্রকল্প, আমঝুপি কুঠিবাড়ি, নিগমানন্দ আশ্রম ও ভাটপাড়া কুঠিবাড়ি নিয়ে আন্তঃজেলা পর্যটন জোন গড়ে তুলতে হবে।

 কুষ্টিয়ার  বার্তা
 কুষ্টিয়ার  বার্তা
এই বিভাগের আরো খবর