মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ২ ১৪৩১   ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫

 কুষ্টিয়ার  বার্তা
সর্বশেষ:
সমৃদ্ধ ও স্মার্ট ভবিষ্যৎ নির্মাণে একযোগে কাজ করার আহ্বান ইরান-ইসরাইল উত্তেজনা নিরসন ও গাজায় হত্যাযজ্ঞ বন্ধ চায় বাংলাদেশ ৬ বিভাগে বইছে তাপপ্রবাহ, আরও বাড়বে গরম প্রথম ধাপের মনোনয়ন দাখিলের শেষ সময় আজ ট্রেনে স্বস্তিতে ঢাকায় ফিরছেন অনেকে
৪৫৩২

বারোমাসি আম চাষে লাভবান হয়েছেন মেহেরপুরের বুলবুল

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ৫ সেপ্টেম্বর ২০২২  

ইউটিউব দেখে আম বাগান করে বেশ লাভবান হয়েছেন মেহেরপুরের এনজিওকর্মী মঈন-উল-আলম বুলবুল। তার এই বারোমাসি আম বাগান দেখে এলাকার অনেকেই আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। পাশাপাশি জেলায় আমের বাগান সম্প্রসারণে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ ও দিক নিদের্শনা দিচ্ছে কৃষি বিভাগও।

মঈন-উল-আলম বুলবুলের বাড়ি মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি গ্রামে। ইউটিউব দেখে আড়াই বিঘা জমিতে কাটিমন থাই জাতের বারোমাসি আম গাছ লাগানোর প্রস্তুতি নেন তিনি। এরপর চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা থেকে ২৫০টি কাটিমন থাই জাতের আমের চারা সংগ্রহ করেন এবং পরীক্ষামূলক চাষ শুরু করেন। প্রথম বছরেই গাছে মুকুল আসে তার। গাছকে মজবুত করতে প্রথম বছর মুকুল ভেঙে দেন বুলবুল। 

এখন দুই বছর বয়সী প্রতিটি গাছে আম ধরেছে। গাছের ডালে থোকায় থোকায় ঝুলছে আম। একই গাছের বিভিন্ন ডালে পরিপক্ক আমের গুটি ও মুকুল এসেছে।

বুলবুলের বারোমাসি আমের সফলতার খবর এখন জেলার বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। এ খবরে বিভিন্ন এলাকা থেকে চাষিরা তার বাগান দেখতে আসছেন এবং নিজেরাও পরামর্শ নিচ্ছেন।
 
বাগাম মালিক বুলবুল বলেন, ইউটিউব দেখেই কাটিমন থাই জাতের আম বাগান করতে আগ্রহ জাগে। অসময়ে যে ফল বাজারে পাওয়া যায় সেই ফলের চাহিদা ও দাম তুলনামূলকভাবে বেশি পাওয়া যাবে, এমন ভাবনা থেকেই আড়াই বিঘা জমিতে ২৫০টি আমের চারা রোপন করি। চারা রোপন ও পরিচর্যায় গেল দু’বছরে প্রায় আড়াই লাখ টাকা খরচ হয়েছে। 

তিনি বলেন, চলতি বছর এক লাখ টাকার আম বিক্রি করেছি। প্রতি কেজি আম পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা।

আমঝুপি গ্রামের ব্যবসায়ী আক্তারুজ্জামান জানান, তিনি চাষি বুলবুলের আম বাগান দেখেছেন এবং পরামর্শ নিয়েছেন। তিনিও দুই বিঘা জমিতে কাটিমন থাই জাতের বারোমাসি আমের বাগান করবেন বলে প্রস্তুতি নিয়েছেন। 

বুলবুল ভাইয়ের আম বাগানের সংবাদ পেয়ে বাগান দেখতে আসা বন্দর গ্রামের ফয়সাল আহম্মেদ বলেন, চারা পেলেই তিনি কাটিমন জাতের আম বাগান করবেন।

এ বিষয়ে মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সামসুল আলম বলেন, জেলায় প্রায় ৫০০ হেক্টর জমিতে আমের বাগান রয়েছে। এসব বাগানে মৌসুম ভিত্তিক বিভিন্ন জাতের আম পাওয়া যায়। তবে বারোমাসি আমের কদর বেশি। জেলায় এবার নতুন করে যুক্ত হলো বারোমাসী আম। সারা বছরই নেওয়া যাবে আমের স্বাদ। আমঝুপি গ্রামের বুলবুল কাটিমন থাই জাতের আমের বাগান করেছেন। ফলনও ভালো হয়েছে। অনেকেই আসছেন পরামর্শ নিচ্ছেন। বাগান করতে চাষিদেরকে উদ্ধুদ্ধ করছে কৃষি বিভাগ। 

 কুষ্টিয়ার  বার্তা
 কুষ্টিয়ার  বার্তা
এই বিভাগের আরো খবর