শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১   ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

 কুষ্টিয়ার  বার্তা
সর্বশেষ:
দেশে তিনদিনের হিট অ্যালার্ট জারি প্রথমবারের মতো ঢাকা সফরে আসছেন কাতারের আমির চুয়াডাঙ্গায় হিট অ্যালার্ট জারি ১১৫ বোতল ফেনসিডিলসহ ৫ মাদক কারবারি আটক ৫০ বছরে বাংলাদেশের সাফল্য চোখে পড়ার মতো মন্ত্রী-এমপির প্রার্থীদের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসার আহ্বান
১১০৯

স্কুলে যায় ৯৮ ভাগ শিশু, কমেছে ঝরে পড়ার হারও

নিউজ ডেস্ক:

প্রকাশিত: ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

বর্তমানে প্রায় ৯৮ ভাগ শিশু স্কুলে যায়। একইসঙ্গে কমেছে ঝরে পড়ার হারও।

বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে দেয়া হচ্ছে বিনামূল্যের বই। উপবৃত্তির অর্থ পৌঁছে যাচ্ছে মায়ের হাতে। এরইমধ্যে চালু হয়েছে ‘মিড ডে মিল’ প্রোগ্রাম। সরকারের এতোসব পদক্ষেপের কারণে প্রাথমিকে বেড়েছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা।  

জানা গেছে, ১৯৭২ সালে শিশুদের স্কুলে যাওয়ার হার ছিল ৫১ ভাগ। আর বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৭ দশমিক ৯৫ ভাগ। ভর্তির হার বাড়ানোর পাশাপাশি ঝরে পড়া রোধেও সরকার বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। 

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ঝরে পড়ার হার ১৭ দশমিক ৯ ভাগ। যা ২০০৫ সালে ছিল ৪৭ আর ২০১৫ সালে ছিল ২০ ভাগ। ২০২৪ সালের মধ্যে ঝরে পড়ার হার শূন্যে নামিয়ে আনতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। 

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রে পাওয়া তথ্যমতে, এবার ২০২০ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে ৩৫ কোটি ৩১ লাখ ৪৪ হাজার ৫৫৪ কপি বই বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রাথমিকের জন্য বিতরণ করা হয়েছে ৯ কোটি ৮৫ লাখ পাঁচ হাজার ৪৮০ কপি বই। নতুন বছরের প্রথম দিন সারাদেশের শিশুদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরাও বছরের প্রথম দিন নতুন ও ঝকঝকে বই হাতে পেয়ে আনন্দিত। 

এদিকে, বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দেড় কোটি শিক্ষার্থীর প্রত্যেককে প্রতিমাসে ১০০ টাকা করে উপবৃত্তি দেয়া হয়। উপবৃত্তির টাকা যাতে শিক্ষার্থীরা সঠিকভাবে পায় সে জন্য রূপালী ব্যাংকের শিওর ক্যাশের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মায়ের হাতে এ টাকা তুলে দেয়া হয়। বিদ্যালয়গুলো অভিভাবক সভা করে উপবৃত্তির টাকা বিতরণ করে।

উপবৃত্তির অর্থ ছাড়াও মুজিববর্ষ থেকেই শিশুদের শিক্ষা সহায়ক উপকরণ কেনার জন্য অতিরিক্ত ৫০০ টাকা করে দেয়া হবে। দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর এক কোটি ৪০ লাখ শিক্ষার্থী এই সুবিধা পাবে। 

অন্যদিকে, দেশের বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এরইমধ্যে চালু হয়েছে মিড ডে মিল। মুজিববর্ষে সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল চালু করা হবে। এ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা এরইমধ্যে মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেয়া হয়েছে। 

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল ক্লাসরুম তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, এরইমধ্যে দেশের প্রায় ৬৫ হাজার বিদ্যালয়ের ৫৩ হাজার ৬৮৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১টি করে ল্যাপটপ এবং ২২ হাজারের বেশি মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর বিতরণ করা হয়েছে। 

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বলেন, প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ার কারণে প্রাথমিকে ভর্তির হার অনেক বেড়েছে। এছাড়া কমেছে ঝরে পড়ার হারও। 

তিনি আরো বলেন, বর্তমানে দেশে স্কুলে যাওয়ার হার ৯৭ দশমিক ৯৫ ভাগ। আর ঝরে পড়ার হারও অনেক কমে এসেছে। ২০২৪ সালের মধ্যে ঝরে পড়ার হার শূন্যে নামিয়ে আনাটাই আমাদের লক্ষ্য। এ নিয়ে বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বছরের প্রথম দিনে বিনামূল্যের বই বিতরণ, শিক্ষা উপকরণ ও প্রতিটি শিক্ষার্থীর মায়ের হাতে উপবৃত্তি বাবদ অর্থ তুলে দেয়া হচ্ছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, সারাদেশের শতভাগ শিশুকে বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সব কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদেরও বিদ্যালয়ে অবস্থান নিশ্চিত করতে অ্যাসিস্টিভ ডিভাইস বিতরণসহ বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। 

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, শিক্ষার্থীদের মানসিকভাবে প্রফুল্ল রাখতে সরকার সচেষ্ট। সে কারণেই প্রতিবছরের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই ও উপবৃত্তির টাকা দেয়া হয়। এর বাইরেও প্রতিবছরের শুরুতে এককালীন ৫০০ টাকা করে দেয়া হবে। সবমিলিয়ে শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধে মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

 কুষ্টিয়ার  বার্তা
 কুষ্টিয়ার  বার্তা
এই বিভাগের আরো খবর