মঙ্গলবার   ১৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ৪ ১৪৩০   ০৯ রমজান ১৪৪৫

 কুষ্টিয়ার  বার্তা
সর্বশেষ:
বঙ্গবন্ধু ভাবতেই পারেননি বাঙালিরা তাকে হত্যা করবে : প্রধানমন্ত্রী গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: মৃত বেড়ে ১০ এমভি আবদুল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, বাড়ছে আতঙ্ক মানুষকে সচেতন করতে না পারলে হাসপাতাল করে প্রাণ বাচাঁনো যাবে না শুভেচ্ছা দূত হয়ে বাংলাদেশে এলেন সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস
৪৮৪

রিজার্ভ চুরির অর্থ ফেরতে সহযোগিতা করবে ফিলিপাইন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর ২০১৯  

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির অর্থ ফেরতের বিষয়ে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে ফিলিপাইন।

মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় ফিলিপাইনের সঙ্গে দ্বিতীয় ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) বা সচিব পর্যায়ের বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র সচিব (এশিয়া ও প্যাসিফিক) মাসুদ বিন মোমেন এ কথা জানান। তবে শিগগিরই অর্থ ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা কম বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এ অর্থ কবে নাগাদ ফেরত আসতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, বিচারিক প্রক্রিয়া সবসময় একটু লম্বা হয়। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র, ফিলিপাইন এবং বাংলাদেশে আইনি প্রক্রিয়া চলছে। আইনি প্রক্রিয়ার ওপর আলাদা করে হাত নেই কারও। যুক্তরাষ্ট্রে বা ফিলিপাইনে যে বিচার চলছে, তা চলবে। এগুলো সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। এসব মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার বিষয়ে নির্ধারিত কোনো সময় বাধা নেই।

তিনি বলেন, বৈঠকে ফিলিপাইনের কাছে আমরা কয়েকটি বিষয়ে সাহায্য চেয়েছি। যেমন- কিছু অপরাধীর পরিচয় নিশ্চিত করার ব্যাপার। এ তথ্য ফিলিপাইন আমাদের দেয়নি। সেটা আমরা চেয়েছি। এছাড়া কিছু ফিন্যান্সিয়াল (অর্থনৈতিক) বিষয় আছে। সেটাও তারা আমাদের সঙ্গে শেয়ার করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে।

‘আশা করি, এ ফিন্যান্সিয়াল তথ্য এবং আইডেন্টিটির বিষয়গুলো নিষ্পত্তি হয় তাহলে বাংলাদেশে যে মামলা চলছে, তার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দিতে সুবিধা হবে’।

এ তথ্য দেয়ার বিষয়ে কোনো সময়সীমা নির্ধারণ হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ফিলিপাইনের ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিসের কাছে এ তথ্য জমা আছে। তাদের অনুমতি সাপেক্ষে ফিলিপাইন এটি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করবে। ফিলিপাইন আরসিবিসি ব্যাংককে ২০ মিলিয়ন ডলার জরিমানা করেছে। এ টাকাটাও বাংলাদেশকে দেয়ার ব্যাপারে বৈঠকে আলোচনা চলছে। তবে তারা এ বিষয়ে কিছুটা দ্বিমত প্রকাশ করেছেন। এ বিষয়ে ওদের (ফিলিপাইনের) অন্যরকম যুক্তি আছে।

মাসুদ বিন মোমেন আরো বলেন, তারা (ফিলিপাইন) বলছে যে, ২০ মিলিয়ন ডলার তারা আরসিবিসিকে জরিমানা করেছে সেটা তাদের দেশের আইন অমান্য করার জন্য। এটার সঙ্গে আমাদের হারানো টাকার সরাসরি সম্পর্ক নেই। তবে আমরা আমাদের দাবি জানিয়ে যাচ্ছি অন্তত ওই টাকাটা দেয়ার জন্য কারণ আমাদের রিজার্ভ চুরি যাওয়ার কারণেই ওই জরিমানা করা হয়েছে।

মাসুদ বিন মোমেন বলেন, আর কিছু টাকা এখনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। আমরা ধাপে ধাপে এগোচ্ছি। ফিলিপাইন থেকে কিছু টাকা পাচার হয়ে গেছে। ওদের দেশে তদন্ত চলছে বিভিন্ন পর্যায়ে।

জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি দায়িত্ব পালন করে আসা এই কূটনীতিক বলেন, বৈঠকে আমরা বলেছি, বাংলাদেশ ও ফিলিপাইন যদি আন্তর্জাতিক ফ্রেম ওয়ার্মের মাধ্যমে এই সমস্যার সুষ্ঠু সুরাহা করতে পারে তাহলে অন্য দেশের জন্য তা উদাহরণ হয়ে থাকবে। জাতিসংঘেও এটা নিয়ে কাজ হচ্ছে। সাইবার ক্রাইম নিয়ে একটা কনভেনশনের কাজ হচ্ছে। সেটা না হওয়ায় এখন দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মধ্য দিয়ে সমাধান করতে হবে। 

আমরা যদি এটা সমাধান করতে পারি তাহলে সেটা অন্য দেশের কাছে মডেল হয়ে থাকতে পারে বলেও মন্তব করেন তিনি। তিনি আরো বলেন, তারা (ফিলিপাইন) বলেছে, এটা ভালো আইডিয়া। তারা সহযোগিতা করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধিরাও জানালেন হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবেশে তাদের মধ্যে বৈঠক হয়েছে’।

২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে সুইফট কোডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রায় ১০১ মিলিয়ন ডলার চুরি করে নেয় দুর্বৃত্তরা। এর মধ্যে ২ কোটি ডলার চলে যায় শ্রীলংকা এবং ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চলে যায় ফিলিপাইনের জুয়ার আসরে। চুরি যাওয়া অর্থের মধ্যে এখন পর্যন্ত ফেরত এসেছে ১ কোটি ৪৫ লাখ ৪০ হাজার ডলার। বাকি ৬ কোটি ৬৪ লাখ ডলার ফেরত পাওয়া যায়নি।

 কুষ্টিয়ার  বার্তা
 কুষ্টিয়ার  বার্তা
এই বিভাগের আরো খবর