শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৪ ১৪৩০   ১৯ রমজান ১৪৪৫

 কুষ্টিয়ার  বার্তা
৮৫

যেসব দেশে বিমান চলাচল সবচেয়ে বিপজ্জনক

নিউজ ডেস্ক:

প্রকাশিত: ৭ ডিসেম্বর ২০১৯  

সবচেয়ে নিরাপদ ভ্রমণ হচ্ছে ট্রেনে আর বিপজ্জনক হচ্ছে বিমান ভ্রমণ।তারপরও বিমান ভ্রমণ করতে কে না চায়।

তবে বিমান ভ্রমণ কিন্তু সব দেশে বিপজ্জনক নয়। কিছু দেশ আছে যেখানে বিমানে চলাচল করা মৃত্যুর কারণ হতে পারে।বিমানের জন্য বিপজ্জনক একটি দেশ হচ্ছে গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র বা ডিআরসি।

সম্প্রতি কয়েকটি দেশে বিমান দুর্ঘটনার পর বিমান চলাচলের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সবশেষ দুর্ঘটনাটি হয়েছে নভেম্বরে, পূর্বাঞ্চলীয় শহর গোমায়। বিমানটি একটি বাড়ির উপরে আছড়ে পড়লে ২৭ জন প্রাণ হারান।

এভিয়েশন সেফটি নেটওয়ার্ক সারা বিশ্বে বিমান চলাচলের উপর নজর রাখে এবং এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে থাকে।

তাদের তথ্য-উপাত্তে দেখা যায়, ১৯৪৫ সালের পর আফ্রিকা মহাদেশের এই দেশটিতেই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক যাত্রীবাহী বিমান দুর্ঘটনায় পড়েছে।

নর্থ ড্যাকোটা ইউনিভার্সিটির ড্যানিয়েল কাওয়াসি আদজেকুম বলেছেন, গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে প্রচুর দুর্ঘটনার পেছনে অন্যতম কারণ ভৌগোলিক ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় দুর্বলতা।

কারণ রাজধানী কিনশাসা থেকে দেশটির ২৫টি বড় বড় শহরের মাত্র চারটি ছাড়া আর কোনোটিতেই সড়কপথে যাওয়া যায় না। এ ছাড়া দেশটির বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্য যে ট্রাফিক ব্যবস্থা ও যন্ত্রপাতি আছে তা কোনোরকমে কাজ চালানোর মতো।

আর কিছু দুর্ঘটনার জন্য দায়ী খারাপ আবহাওয়া। প্রবল বৃষ্টিপাত ও ঝড়ের কারণে বর্ষাকালে বিমান চলাচলের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

২০১০ সালের পর থেকে সবচেয়ে বেশি বিমান দুর্ঘটনা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। তার পরই রাশিয়া, কানাডা, মেক্সিকো এবং ইন্দোনেশিয়া।

গত ১০ বছরে রাশিয়াতে বিমানযাত্রীর সংখ্যা প্রায় তিনগুণ বেড়েছে আর ইন্দোনেশিয়াতে বেড়েছে চারগুণ। এই একই সময়ে গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে দুর্ঘটনায় যত মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। একই সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়েছে নেপালেও। এই দুটো দেশেই এই ১০ বছরে ১৮০ জনের মতো নিহত হয়েছে।

নেপালেও বিমান দুর্ঘটনার জন্য এর ভূ-প্রাকৃতিক সবচেয়ে বড় কারণ বলে মনে করা হয়। এখানে বিমানবন্দর এমন একটি জায়গায় যেখানে পাহাড় কাটিয়ে রানওয়েতে অবতরণ করতে হয়। তাই অনেক সময়ই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়।

সারা বিশ্বে যত বিমান চলাচল করে তার মাত্র শূন্য দশমিক এক শতাংশ বিমান চলে ডিআরসিতে। অর্থাৎ বিশ্বে এক হাজার বিমান থাকলে এই দেশে বিমান আছে মাত্র একটি।

কিন্তু ২০১০ সালের পর থেকে মোট বিমান দুর্ঘটনার চার শতাংশই ঘটেছে এই দেশে।

আফ্রিকার অন্য দেশগুলোতেও বিমান চলাচল খুব একটা নিরাপদ নয়। সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি হয়েছিল ১৯৯৬ সালে। রাজধানী কিনশাসায় রানওয়ে থেকে বাইরে ছুটে গিয়ে একটি বাজারের ভেতরে ঢুকে পড়ে।ওই দুর্ঘটনায় ২৩৭ জন নিহত হয়।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

 কুষ্টিয়ার  বার্তা
 কুষ্টিয়ার  বার্তা
এই বিভাগের আরো খবর