শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৪ ১৪৩০   ১৯ রমজান ১৪৪৫

 কুষ্টিয়ার  বার্তা
৪২৬

মিরপুরে গৃহবধূ হত্যাকাণ্ডে সব আসামী গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

কুষ্টিয়ার মিরপুরে শাহিনা খাতুন (৩২) হত্যাকাণ্ডের মূলহোতাসহ ৪ আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। পুলিশ হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা সেলিমের ব্যবহৃত মুঠোফোনের সূত্র ধরে তাকেসহ বাকী আসামীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

১৮ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) রাতে পুলিশ হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা সেলিমকে ঢাকার আশুলিয়া এলাকা থেকে আটকের পর তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মামলার বাকি আসামীদের গ্রেফতার করে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃত বাকী আসামীরা হলেন- নওদাপাড়া গ্রামের মৃত হান্নান শেখের ছেলে শিহাব আলী (৩৮), রহমত মন্ডলের ছেলে শাহানুর ইসলাম ওরফে বুড়ো (৩২)।

মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ফুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের নওদাপাড়া গ্রামের লোকমান শাহের ছেলে সেলিম। গত বছরের ৩০ নভেম্বর মোবাইলে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার লাঙ্গলবাধ গ্রামের মহব্বুল মন্ডলের স্ত্রী শাহিনাকে ডেকে আনে। পরে তাকে নয়নপুর ক্যানাল পাড়ে নিয়ে গিয়ে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ করে। 

ধর্ষণকারীরা ওই নারীকে হত্যা করে নওদাপাড়ার জনৈক লুৎফর রহমানের পারিবারিক কবরস্থানের পশ্চিম পাশে বাগানের মধ্যে ফেলে রেখে যায়। পরের দিন সকালে পুলিশ হাত ও মুখ বাঁধা অবস্থায় অজ্ঞাত হিসেবে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে।

পরে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সহায়তায় ভিকটিমের আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করে তার পরিচয় জানতে পারে। 

অবশেষে ঘটনার আড়াই মাস পর ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে পুলিশ এ হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা সেলিমকে ঢাকার আশুলিয়া এলাকা থেকে আটক করে। পরে তাকে আদালতে হাজির করলে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। হত্যাকাণ্ডে সে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।

আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে সেলিম জানায়, ঘটনার রাতে সে সহ তার আরও তিন বন্ধু মিলে ধর্ষণের পর শাহিনাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এ ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে সেলিম ছাড়াও নওদাপাড়া গ্রামের মৃত হান্নান শেখের ছেলে শিহাব আলী (৩৮), রহমত মন্ডলের ছেলে শাহানুর ইসলাম ওরফে বুড়ো (৩২) ও আব্দুল মালেকের ছেলে ময়নাল (২৮) জড়িত রয়েছে বলে জানান।

ধর্ষণের পর শাহিনাকে তারা জোরপূর্বক ঘটনাস্থলের অদূরে কুষ্টিয়া-মেহেরপুর সড়কের পরিবহনে তুলে দেয়ার চেষ্টা করে। পথিমধ্যে শাহিনা চিৎকার শুরু করলে সেলিম তাকে ওই বাগানের মধ্যে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে।

এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সেলিমের স্বীকারোক্তি মোতাবেক অপর ৩ জনকে নিজ নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয়। আটকদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

 কুষ্টিয়ার  বার্তা
 কুষ্টিয়ার  বার্তা
এই বিভাগের আরো খবর