শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৫ ১৪৩০   ১৯ রমজান ১৪৪৫

 কুষ্টিয়ার  বার্তা
২০৯

পাঁচশ কোটি টাকার স্মার্ট সিটি প্রকল্প চসিকের

নিউজ ডেস্ক:

প্রকাশিত: ২১ নভেম্বর ২০১৯  

নগরীর ৪১ ওয়ার্ডে স্বাস্থ্য কার্ড বিতরণ করবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। প্রতি ওয়ার্ডে এক হাজার জনের কাছে এ কার্ড দেয়া হবে। এর মধ্যে কাউন্সিলরগণ ৮০০ করে এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলরগণ ২০০ করে কার্ড বিতরণ করবেন। কার্ডধারীরা সংস্থাটির পরিচালিত স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা নিতে পারবেন। গতকাল অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সভায় সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন সভাপতিত্ব করেন। এতে এবার গেজেটভুক্ত ১৫০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা দেয়ার সিদ্ধান্তও হয়েছে। এক্ষেত্রে নগরীতে গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা পাওয়া না গেলে চট্টগ্রামের জেলা-উপজেলা হতে বাছাই করে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করা হবে।

উল্লেখ্য, ২০১০ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত এক হাজার ১শ ৮২ জন বীরমুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা দিয়েছে চসিক। এছাড়া চসিক পরিচালিত বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার মান উন্নয়নে দুইটি মডেল টেস্ট পরীক্ষা অনুষ্ঠান, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে কর্মরত চালকদের প্রশিক্ষণ প্রদান ও নিয়োগ, বিভিন্ন যানবাহনের রেজিস্ট্রেশনকরণ, বিজয় দিবস উদযাপন, হালিশহর গার্ভেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্টের আধুনিকায়ন, চসিক ডা. জাকির হোসেন হোমিও প্যাথিক কলেজে কর্মরত শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি, সিজেকেএস আয়োজিত বঙ্গবন্ধু-বঙ্গমাতা বালক ও বালিকা অনূর্ধ ১৭ ফুটবল টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ, রাস্তায় অবস্থিত ডাস্টবিন অপসারণ, ওয়ার্ড ভিত্তিক দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য যন্ত্রপাতি ক্রয় এবং আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে চলমান সৌন্দর্য বর্ধনেরও সিদ্ধান্ত হয়েছে। সভায় উপস্থিত কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব দৈনিক আজাদীকে বলেন, হেলথ কার্ড দেয়ার পাশাপাশি নগরীতে আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে গণপরিবহনের ব্যবস্থা করারও সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সভায় মেয়র বলেন, চট্টগ্রামকে স্মার্ট সিটি হিসেবে গড়ে তোলার জন্য প্রায় পাঁচশ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে চসিক। প্রকল্পটি বর্তমানে মন্ত্রণালয়ে যাচাই-বাছাইয়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে পুরো নগরীকে নিরাপত্তার চাদরে পরিবেষ্টিত করা হবে। এই স্মার্ট সিটির বাস্তবায়নে জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিস্টেম বা জিএস পদ্ধতি অঙ্গাঙ্গীকভাবে জড়িত। এর মাধ্যমে একটি শহরের সকল তথ্য উপাত্ত আদান-প্রদান নগর পরিকল্পনা প্রণয়নের ক্ষেত্রে জিএস পদ্ধতি একটি যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করবে। এর ফলে স্বচ্ছতা,জবাবদিহিতা এবং দক্ষতা অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে। কর্পোরেশনের আয় বৃদ্ধিতে জিএস পদ্ধতি সহায়ক ভুমিকা পালন করবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। সকল প্রক্রিয়া অনুসরনের পর চসিক এবং আইডব্লিউএম এর মধ্যকার চুক্তিতে আবদ্ধ হবে বলে সিটি মেয়র উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, নগরীতে সুষ্ঠু ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট না থাকার কারণে নগরবাসীর ভোগান্তি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। নগরবাসীকে এই ভোগান্তি থেকে উত্তরনে সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থা অপরিহার্য। এই ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নগরীতে এসি বাস চালু করবে চসিক। জানুয়ারিতে ৩টি সড়কে এই বাসগুলো চলাচল করবে। প্রাথমিক পর্যায়ে ২০০ এসি বাস রাস্তায় নামানো হবে। নগরীর কালুরঘাট হতে পতেঙ্গা, ভাটিয়ারি হতে লালদিঘী, নিউ মার্কেট হতে ফতেয়াবাদ পরীক্ষামূলকভাবে আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে পরিচালিত হবে। সিট ক্যাপাসিটি ও নির্দিষ্ট স্টেশনে বাসগুলোর যাত্রী-সাধারন উঠা-নামা করবে। ইতোমধ্যে এই বাসগুলোর জন্য একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বাসগুলো রক্ষণাবেক্ষনের জন্য নগরীর মেরিনার্স রোডের পাশে একটি টার্মিনালও নির্মাণ করেছে। একেকটি রোডের জন্য একেক কালারের বাস দেয়া হবে, যাতে যাত্রী সাধারনের রঙ দেখে রোড চিহ্নিত করতে সহজ হয়। এতে বিশৃংখলা দূর হবে। নগরীর সৌন্দর্য অনেকগুণ বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি বলেন।

সভায় চসিকের প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমদ, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফিয়া আকতার, স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট জাহানারা ফেরদৌস, সিটি মেয়রের একান্তসচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আক্তার চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। সভা সঞ্চালনায় ছিলেন চসিক সচিব আবু সাহেদ চৌধুরী।

 কুষ্টিয়ার  বার্তা
 কুষ্টিয়ার  বার্তা
এই বিভাগের আরো খবর