বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৩ ১৪৩০   ১৮ রমজান ১৪৪৫

 কুষ্টিয়ার  বার্তা
সর্বশেষ:
২৬ দিনের ছুটি পাচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো মেট্রোরেলের মতিঝিল-কমলাপুর অংশে ভায়াডাক্ট স্থাপন শুরু চীনের পর বাংলাদেশের বড় বাণিজ্যিক অংশীদার আসিয়ান দেশে কমেছে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের সংখ্যা ৫০ হাজার মেট্রিক টন ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন
৩৩৫

কুষ্টিয়া কেজিতে বিক্রি হচ্ছে আনারস!

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ৩০ এপ্রিল ২০২১  

সারাদেশে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি নিয়ে চলছে তুলকালাম। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, জেল-জরিমানা কোনো কিছুতেই দমানো যাচ্ছে না ব্যবসায়ীদের। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে আনারস। বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) কুষ্টিয়া শহরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি আনারস বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। অনেক ক্রেতাই দাম শুনে খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন।

শহরের মজমপুর ও এনএস রোড এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ছোট আনারস ৭০-৮০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। যা রমজানের আগে ছিল ৪০-৪৫ টাকা। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে আনারসের দাম দ্বিগুণ হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা। তাদের অভিযোগ, খুচরা ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে বেশি দামে আনারস বিক্রি করছেন। বর্তমানে আনারসের দাম তরমুজের চেয়েও বেশি।

এক আনারস বিক্রেতা জানান, আড়তদাররা কৃষকের কাছ থেকে পুরো ক্ষেত অথবা পিস হিসেবে আনারস কিনে আনেন। এরপর পাইকারি বাজারে কেজি হিসেবে বিক্রি করেন। এতে বেশি দামে আনারস কিনতে হয়। ফলে খুচরা পর্যায়ে এসে আনারসের দাম হয়ে যায় প্রায় দ্বিগুণ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টাঙ্গাইলের মধুপুর, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল ও রাঙামাটিসহ বিভিন্ন জেলার কৃষকদের কাছ থেকে প্রতি পিস আনারস ১২-২০ টাকা করে কিনে এনে আড়তদাররা ২২০০-২৫০০ টাকা মণ হিসেবে বিক্রি করছেন।

মজমপুরের জেসমিন স্টোর অ্যান্ড ভ্যারাইটিজের মালিক জসিম উদ্দিন বলেন, রোজার আগে কম দামে আড়তদারের কাছে থেকে কিনতাম, কম দামে বিক্রি করতাম। এখন ২২০০ টাকা মণ কিনছি। তাতে ৫৫ টাকা কেজি পড়েছে, তাই ৭০ টাকা বিক্রি করছি। এছাড়া চাহিদার তুলনায় আমদানি কম। এই সুযোগ নিয়ে আড়তদাররাই দাম বাড়িয়েছেন।

এদিকে আনারসের দাম বাড়ার পেছনে উল্টো খুচরা ব্যবসায়ীদের ওপর দোষ চাপালেন আড়তদাররা। মজমপুর বনানী সিনেমা হল গলির আড়তদার শাকিল আহমেদ বলেন, এ বছর আনারসের দাম বেশি। আমরা টাঙ্গাইলের মধুপুর, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল ও রাঙামাটি জেলার কৃষকদের কাছ থেকে প্রতি পিস য়ানারস ২০-২৫ টাকায় ক্রয় করি। দুই হাজার টাকা মণ বিক্রি করি। পরিবহন, শ্রমিক খরচ, আড়ত ভাড়া মিলিয়ে অনেক দাম পড়ে যায়। তবে তুলনামূলক বেশি লাভ করে খুচরা বিক্রেতারা।

কুষ্টিয়ার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক কাজী রকিবুল হাসান বলেন, সরকার রোজার আগে কয়েকটি কৃষি পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে। আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি সেগুলোর ব্যাপারে। তবে আনারসের ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা নেই। তবু আমরা বিষয়টি দেখব।

কুষ্টিয়া কৃষি বিপণন অধিদফতরের জেলা বাজার কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, আনারসের দাম বৃদ্ধির পেছনে আড়তদারদের কারসাজি আছে। কৃষি বিপণন আইন অনুযায়ী, ফল কেজি বা পিস যেভাবেই কিনবেন সেভাবেই বিক্রি করতে হবে। বেশি দামে আনারস বিক্রি করা মোটেও ঠিক নয়। শিগগিরই অভিযান যালিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 কুষ্টিয়ার  বার্তা
 কুষ্টিয়ার  বার্তা
এই বিভাগের আরো খবর