মঙ্গলবার   ১৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ৪ ১৪৩০   ০৯ রমজান ১৪৪৫

 কুষ্টিয়ার  বার্তা
সর্বশেষ:
বঙ্গবন্ধু ভাবতেই পারেননি বাঙালিরা তাকে হত্যা করবে : প্রধানমন্ত্রী গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: মৃত বেড়ে ১০ এমভি আবদুল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, বাড়ছে আতঙ্ক মানুষকে সচেতন করতে না পারলে হাসপাতাল করে প্রাণ বাচাঁনো যাবে না শুভেচ্ছা দূত হয়ে বাংলাদেশে এলেন সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস
২৯৯

কিয়ামতের এক বিশেষ আলামত

ধর্ম ডেস্ক

প্রকাশিত: ৫ নভেম্বর ২০১৯  

কিয়ামত আরবি শব্দ। অর্থ মহাপ্রলয়, পুনরুত্থান। ইয়াওমুল কিয়ামা-অর্থ কিয়ামতের দিবস। কিয়ামত দিবসের আরো নাম আছে। যেমন- ইয়াওমুল জাজা বা প্রতিদান দিবস, ইয়াওমুল হিসাব বা হিসাবের দিবস, ইয়াওমুল কাজা বা বিচার দিবস, ইয়াওমুদ-দিন বা শেষ বিচারের দিন, ইয়াওমুল হাশর বা সমাবেশের দিন, ইয়াওমুল জাময়ে বা একত্রিত করার দিন, ইয়াওমুল বায়াছ বা পুনরুত্থান দিবস ইত্যাদি।
 
কিয়ামত সংঘটিত হওয়ার আগে কিছু নিদর্শন দেখা যাবে। এ প্রসঙ্গে মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, ‘তারা কি শুধু এই অপেক্ষায় রয়েছে যে কিয়ামত তাদের কাছে হঠাৎ এসে পড়ুক। বস্তুত কিয়ামতের লক্ষণগুলো তো এসেই পড়েছে। সুতরাং এসে পড়লে তারা কীভাবে উপদেশ গ্রহণ করবে? (সূরা : মুহাম্মাদ, আয়াত : ১৮)।

প্রিয় পাঠক এখন তাহলে জেনে নিই কিয়ামতের লক্ষণগুলো থেকে বিশেষ এক আলামত সম্পর্কে-

কিয়ামতের এক বিশেষ আলামত:
আবু হুরাইরা রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘শেষ যুগে এই উম্মতের এক সম্প্রদায়কে বানর ও শূকরে বিকৃত করে দেয়া হবে।’
সাহাবিরা বলল, ‘হে আল্লাহর রাসূল! তারা কি আল্লাহ এক ও মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসূল হওয়ার সাক্ষ্য দেয় না?’
নবীজি (সা.) বললেন, ‘হ্যাঁ তারা রোজা রাখে, নামাজ পড়ে এবং হজও আদায় করে।’ 
সাহাবিরা বললেন, ‘তাহলে তাদের অপরাধ কী?’
নবীজি (সা.) বললেন, ‘তারা ঢাকঢোল, বাদ্যযন্ত্র ও গায়িকা মহিলা বরণ করবে। এই লোকগুলো আমোদ-প্রমোদ ও মদ্যপানে মত্ত অবস্থায় রাত কাটাবে। সকালে দেখা যাবে, তাদের বানর ও শূকরে বিকৃত করে দেয়া হয়েছে।’ (আসবাহানি, হিলয়াতুল আউলিয়া : ৩/১১৯-১২০)। 
 
সাহল বিন সা'দ (রা.) থেকে বর্ণিত। নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘আমার উম্মতের মাঝে ধ্বংস, পাথরবৃষ্টি এবং চেহারা বিকৃতকরণ শাস্তি আসবে।’
সাহাবায়ে কেরাম বললেন, ‘হে রাসূল! কবে এই আজাব আসবে?’
নবীজি (সা.) বললেন, ‘যখন বাদ্যযন্ত্র ও গায়িকা নারীদের খুব বিস্তার ঘটবে আর মদকে হালাল মনে করা হবে।’ (তাবারানি, আলমুজামুল কাবির : ৬/১৫০; তিরমিযি, আসসুনান : ২২১৩; সনদ হাসান)। 

আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যখন কেউ উচ্চস্বরে গান ধরে, আল্লাহ তায়ালা তার কাছে দু’টি শয়তান পাঠান, যারা তার দুই কাঁধে বসে সে গান থেকে বিরত হওয়া পর্যন্ত তার বুকে আঘাত করতে থাকে।’ (ইবনু হাযম, আলমুহাল্লা : ৯/৫৮)। 

ইমাম ইবনু তাইমিয়াহ (রহ.) বলেছেন, ‘গান হলো অন্তরের মাদক।’ 

‘আর মানুষের মধ্যে থেকে কেউ কেউ অজ্ঞতাবশত আল্লাহর পথ থেকে মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য ‘বেহুদা কথা’ ক্রয় করে, আর তারা সেগুলো নিয়ে হাসি-ঠাট্টায়  লিপ্ত হয়। তাদের জন্য রয়েছে লজ্জাজনক আজাব। (সূরা লুকমান, ৩১ : ৬)। 
 
এ আয়াত দ্বারা কী উদ্দেশ্য সে বিষয়ে সাহাবিদের মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত তাফসিরকার আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রা.) বলেন, ‘এটা গান-বাজনা এবং এ জাতীয় কিছুকেই বুঝায়।’ 

আরেক প্রসিদ্ধ সাহাবি ইবনু মাসউদ (রা.) তো আরো জোরালো ভাষায় বলেছেন, ‘আমি সেই সত্তার কসম করে বলছি, যাকে ছাড়া কোনো কল্যাণ নেই, এখানে গানের কথা বলা হয়েছে।’ 

যারা গান গায় এবং গান শুনে তাদের উভয়ের জন্য এই আয়াতে রয়েছে চরম ধমকি। তাদের জন্য আছে অবমাননাকর শাস্তি। 

 কুষ্টিয়ার  বার্তা
 কুষ্টিয়ার  বার্তা
এই বিভাগের আরো খবর