শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৫ ১৪৩০   ১৯ রমজান ১৪৪৫

 কুষ্টিয়ার  বার্তা
১৯৭

করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৩ লাখ ৭১ হাজার ছাড়ালো

স্বাস্থ্য ডেস্ক:

প্রকাশিত: ১ জুন ২০২০  

বিশ্বে বর্তমানে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬২ লাখ ৬ হাজার ৩৬ জন। এর মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ৩ লাখ ৭১ হাজার ৯১৬ জন। এছাড়া সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৭ লাখ ৬৬ হাজার ৬৭২ জন। আন্তর্জাতিক জরিপকারী সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারে এ তথ্য জানিয়েছে। 

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। এ পর্যন্ত বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাসটি।

উৎপত্তিস্থল চীনে ৮৩ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হলেও সেখানে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমে গেছে। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশে এই ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে।

ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ লাখ ২১ হাজার ১৬২। মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৫ হাজার ৬৫৪ জনের। আক্রান্তের হিসাবে দ্বিতীয় স্থানে জায়গা করে নিয়েছে ব্রাজিল। দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ১ হাজার ৯৮৭ জনে দাঁড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ২৮ হাজার ৮৭২ জনের। তৃতীয় স্থানে থাকা রাশিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে ৪ লাখ ৫ হাজার ৮৪৩ জন। প্রাণ হারিয়েছে ৪ হাজার ৬৯৩ জন।

এছাড়া চতুর্থ স্থানে নেমে আসা স্পেনে করোনায় ২ লাখ ৮৬ হাজার ৩০৮ জন আক্রান্ত ও ২৭ হাজার ১২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। পঞ্চম স্থানে থাকা যুক্তরাজ্যে ২ লাখ ৭৪ হাজার ৭৬২ জন আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ৩৮ হাজার ৪৪৯ জন।

উৎপত্তিস্থল চীনে মৃতের সংখ্যা চার হাজার ৬৩৪। যদিও দেশটির বিরুদ্ধে প্রকৃত পরিস্থিতি গোপন করার অভিযোগ রয়েছে। উহানের একজন স্বেচ্ছাসেবী বলেন, ‘বুদ্ধি-বিবেচনাসম্পন্ন যেকোনও মানুষ এই সংখ্যা (সরকারি পরিসংখ্যান) নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করবেন।’ অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিসে পেইনি বলেছেন, করোনা নিয়ে চীনের স্বচ্ছতার বিষয়টি সর্বোচ্চ উদ্বেগে পরিণত হয়েছে।

করোনা মহামারির ফলে দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে রয়েছে আফ্রিকাসহ বেশ কিছু স্বল্পোন্নত দেশ। বিভিন্ন দেশে লকডাউন ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার ফলে ত্রাণ কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় এ শঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০০৭-০৮ সালের দিকে খাবারের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিশ্বজুড়ে যে ধরনের সহিংস পরিস্থিতি দেখা গিয়েছিল তার পুনরাবৃত্তি হতে পারে। বিশ্ব চাইলে আসন্ন এ সংকট ঠেকাতে পারে, তবে তা করার সময় ফুরিয়ে আসছে। খুব দ্রুতই সম্মিলিতভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি বিষয়ক সংস্থা (এফএও)-এর জরুরি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক পরিচালক ডমিনিক বারজিওন বলেছেন, ‘খাদ্য নিরাপত্তাজনিত দিক থেকে কিছু জায়গা দুর্ভিক্ষের কাছাকাছি পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। অভাবের মাত্রাটা এমনিতেই অনেক বেশি। এ সময়ে আরেকটি আঘাত তারা সহ্য করতে পারবে না। এ নিয়ে আমরা খুব উদ্বেগে আছি।’

 কুষ্টিয়ার  বার্তা
 কুষ্টিয়ার  বার্তা
এই বিভাগের আরো খবর