বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৪ ১৪৩১   ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

 কুষ্টিয়ার  বার্তা
সর্বশেষ:
ঈদের সময় রেমিট্যান্স এসেছে সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা হিটলারের চেয়েও ভয়ংকর নেতানিয়াহু: ওবায়দুল কাদের দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন বসছে ২ মে চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হবে ৬.১ শতাংশ: এডিবির পূর্বাভাস চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০.৬ ডিগ্রি দুটি যুদ্ধ জাহাজের পাহারায় আমিরাতের পথে এমভি আব্দুল্লাহ চাল আমদানির অনুমতি পেল আরও ৫০ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে আশ্রয় নিলেন বিজিপির আরও ১৩ সদস্য
১৮১

ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন চুয়াডাঙ্গার খামারিরা

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১ জুন ২০২২  

কোরবানির ঈদ সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন চুয়াডাঙ্গার খামারিরা। জেলায় যে পরিমাণ গরু, মহিষ, ছাগল ভেড়া প্রস্তুত করা হয়, তা স্থানীয় চাহিদা পূরণের পাশাপাশি দেশের চাহিদার বড় একটি অংশ পূরণ করে থাকে। এসব পশু স্থানীয় খামারি ও গৃহস্থরা লালনপালন করে প্রস্তুত করেছেন। তবে জেলার চাহিদার তুলনায় কোরবানির যোগ্য গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া উদ্বৃত্ত রয়েছে বলে জানান প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।

চুয়াডাঙ্গা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, জেলায় ছোট-বড় ১১ হাজার ১৬০টি খামার রয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১ হাজার ১৯৫টি, আলমডাঙ্গায় ৫ হাজার ১৯৫টি, দামুড়হুদায় ২ হাজার ৫০৪টি ও জীবননগরে ২ হাজার ২৭০টি।

এবার জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ৮৭ হাজার ৭৯৬টি। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ২০ হাজার ৭৪৫টি, আলমডাঙ্গায় ২২ হাজার ৮২৫টি, দামুড়হুদায় ১৭ হাজার ৭২৬টি ও জীবননগরে ২৬ হাজার ৫০০টি।

এবার স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ৬২ হাজার ৭৭৬ কোরবানিযোগ্য পশু উদ্বৃত্ত থাকবে। তার মধ্যে সদর উপজেলায় ৭ হাজার ৬২০টি, আলমডাঙ্গায় ২৪ হাজার ৪৫৭টি, দামুড়হুদায় ১১ হাজার ৩১৮টি ও জীবননগরে ১৯ হাজার ৩৪১টি। এসব পশু দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ অন্যান্য জেলায়ও চাহিদা মেটানো যাবে।

এবার চুয়াডাঙ্গায় বিভিন্ন খামারে কোরবানিযোগ্য পশু রয়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার ৫৭২টি। এর মধ্যে গরু ও মহিষ মিলে ৩২ হাজার ৯০০টি ও ছাগল ও ভেড়া মিলে ১ লাখ ১৮ হাজার ৫৬৩টি। জেলার চাহিদা মিটিয়ে ৬২ হাজার ৭৭৬টি পশু উদ্বৃত্ত থাকবে।

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরের লক্ষ্মীপুর গ্রামের খামারি আবুল বাশার বলেন, ১০টি গাভীসহ ৭০টি কোরবানি উপযুক্ত গরু ছিল আমার খামারে। ঢাকার খামারিদের কাছে ২০টি গরু ইতোমধ্যে ১ কোটি ১০ লাখ টাকায় বিক্রি করেছি। এখনও আমার খামারে ৩০টি গরু আছে। এসব গরু আরও সাইজে বড়। বিক্রি না হওয়া পর্যন্ত বলতে পাচ্ছি না লাভ হবে না ক্ষতি হবে। গত বছর ৪০টি গরু কোরবানির সময় বিক্রি করতে না পারায় ঢাকা থেকে ফেরত এসেছিল। খাবারের দাম গত বছরের তুলনায়  এ বছর অনেক বেশি। এলাকায় বিক্রির উপযুক্ত কোরবানির গরু গত বছরের তুলনায় কম। বিকিকিনিও গত বছরের তুলনায় কম  হবে। তিনি জানান, সব গরু বিকিকিনি করতে পারলে গত বছরের লোকসান কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।

আলমডাঙ্গার হাজ্জাজ বিন তাহাজ বলেন, গত কোরবানির পর থেকে এ পর্যন্ত ৬০টি গরু বিক্রি করেছি। ৫টি গরু লোকসানে বিক্রি করেছি। বাকি গরু লাভে বিক্রি হয়েছে। চলতি বছর কত টাকায় গরু বিক্রি হয়েছে এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এভাবে হিসাব দেয়া আমার জন্য অনেক কঠিন। তার কারণ সারা বছর আমি গরু বিকিকিনি করি। অনেক সময়ের ব্যাপার। তবে ২২টি গরু লাট ধরে একবারে বিক্রি করেছি ৯৯ লাখ টাকায়। তাছাড়া কখনও ৪টি, কখনও ৫টি করে গরু  বিক্রি করেছি।

সদর উপজেলার আলুকদিয়া গ্রামের খামারি মাহফুজ বলেন, আমার খামারে ২৬টি গাভী আছে। আমার খামারে পালা ৫টি গরু বিকিকিনি করার মতো। গরু ৫টি দেড় লাখ থেকে ৫ লাখের মধ্যে বিকিকিনি হবে বলে আশা রাখি।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. গোলাম মোস্তফা জানান, জেলায় এবার কোরবানির জন্য প্রায় ৩৩ হাজার গরু ও মহিষ মোটাতাজা করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গার চাহিদা পূরণ করে প্রায় ৬২ শতাংশ গরু দেশের বিভিন্ন স্থানে চলে যাবে। এছাড়া এবার ১ লাখ ১৮ হাজার ৫৬৩ ছাগল ও ভেড়া কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।

কোনো রকম কীটনাশক বা ক্ষতিকর ছাড়াই মাঠের ঘাস ও স্বাভাবিক খাবারে এসব গরু-মহিষ, ছাগল ও ভেড়া মোটাতাজা হয়েছে বলে নিশ্চিত করে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জানান, করোনার প্রাদুর্ভাবে খামারিদের বিভিন্ন সময় প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। খামারিদের পোশা পশু ঢাকা-চিটাগাংসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় চাহিদা পূরণ করবে। তিনি আরও জানান, ভারতের গরু যেন কোনোভাবেই আমাদের প্রবেশ করতে না পারে সেদিকে আমাদের তীক্ষ্ন দৃষ্টি রয়েছে। খামারিরা এবার কোরবানি পশুর ন্যায্য মূল্য পাবেন বলেও জানান তিনি।

 কুষ্টিয়ার  বার্তা
 কুষ্টিয়ার  বার্তা
এই বিভাগের আরো খবর