আমেরিকার পরামর্শেই র্যাব সৃষ্টি, প্রশিক্ষণও দিয়েছে তারা
নিউজ ডেস্ক:
প্রকাশিত: ৭ অক্টোবর ২০২২
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমেরিকার পরামর্শেই র্যাব সৃষ্টি হয়েছে। আমেরিকাই র্যাবকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। র্যাবের অস্ত্রশস্ত্র, হেলিকপ্টার এমনকি তাদের ডিজিটাল সিস্টেম, আইসিটি সিস্টেম সবই আমেরিকার দেওয়া। এই র্যাবকে দিয়েই বাংলাদেশে সন্ত্রাস দমন করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন করেছেন, এই বাহিনীর ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া কি সন্ত্রাসীদের মদদ দেওয়া?
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে সদ্য সমাপ্ত রাষ্ট্রীয় সফর নিয়ে বৃহস্পতিবার গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমেরিকা যেভাবে নিষেধাজ্ঞা দেয় বা কোনো কথা বলে বা অভিযোগ আনে আমার একটাই কথা, যেমন আপনারা ট্রেনিং দিয়েছেন তেমন তারা কার্যক্রম করেছে। আমাদের করার কী আছে?’
সংবাদ সম্মেলনে একটি বার্তা সংস্থার সম্পাদক প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন—আমেরিকা র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। গণতন্ত্র সম্মেলনে তারা বাংলাদেশকে দাওয়াত দেয়নি। মানবাধিকার এবং বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে বিভিন্ন সময়ে কথা বলে থাকেন। এই প্রেক্ষাপটে যেটা লক্ষ করা যাচ্ছে, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কটি একটা টানাপোড়েনের মধ্যে আছে। আপনি এই সম্পর্কটা কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা যাদের দিয়ে এ দেশের সন্ত্রাস দমন করেছি, তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার অর্থটা কী? সন্ত্রাসীদের মদদ দেওয়া? আমার এটাও প্রশ্ন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে যে তাহলে সন্ত্রাস দমনে কি তারা নাখোশ?’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের দেশে র্যাব হোক, পুলিশ হোক বা যে–ই হোক—কেউ যদি কোনো অপরাধ করে, তার কিন্তু বিচার হয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশ ইচ্ছেমতো গুলি করে মারলেও তাদের কিন্তু সহসা বিচার হয় না। শুধু একটা বিচার হলো, যখন আমেরিকার লোক সবাই আন্দোলনে নামল। তখন ওই একটাই বিচার সারা জীবনে তারা করতে পেরেছে। তারা তো কথায় কথায় গুলি করে মেরে ফেলে দেয়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কতজন বাঙালি মারা গেছে। সেখানে কিন্তু তারা কিছু বলে না। সে কথাগুলো আমি স্পষ্ট তাদের বলেছি। আমি কিন্তু বসে থাকিনি। আমি মনে করি এটা আমাদের বলার কথা। দ্বিতীয় কথা যে কয়েকটা আন্তর্জাতিক সংস্থা খুব তুলল গুম খুন, গুম খুন। গুমের হিসাব যখন বেরোতে শুরু করল, তখন দেখা গেল সব থেকে বেশি গুম জিয়াউর রহমানের আমলেই শুরু। তারপর থেকে তো চলছেই। তারপর যখন আমরা তালিকা চাইলাম, ৭৬ জনের তালিকা পাওয়া গেল। আর এই ৭৬ জনের মধ্যে কী পাওয়া গেল, আপনারাই ভালো জানেন।’
গুম প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এর মধ্যে এমনও আছে, মাকে লুকিয়ে রেখে আরেকজনকে শায়েস্তা করতেও মাকে “খুন করেছে, গুম করেছে” সেই ঘটনা বের হয়ে যাচ্ছে। আমি সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানাই যে আপনারা খুঁজে খুঁজে এসব বের করেন। আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের ধরে। একজন আঁতেলের কথা বলতে চাই না। ঢাকা থেকে তিনি চলে গেলেন খুলনা। বললেন তাঁকে গুম করা হয়েছে। দেখা গেল নিউমার্কেটে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। নিউমার্কেটেই তাঁকে খুঁজে পাওয়া গেল। এ রকম ঘটনা আছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আর যে তালিকা আছে সেই তালিকায় দেখা যাচ্ছে, ভারত থেকে কিছু নাগরিক পলাতক আসামি। তাদের নামও সেই তালিকায়। এটা কেমন করে হয়? আবার এ রকমভাবে বেশ কিছু নাম আছে, যারা আমেরিকাতেই লুকিয়ে আছে। সে রকমও তথ্য আছে। সে বিষয়গুলো আমরা তাদের সামনে তুলে ধরেছি যে এই যে গুম গুম করেন, তাহলে আগে সেটা দেখেন কী কারণে। আর এ রকম বহু গুমের ঘটনা যখনই ঘটে, আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কিন্তু তাদের খুঁজে বের করে। সেই জিনিসটা আসেই না বা পত্রিকায় আপনারা বড় করে দেখান না। গুমটা যত বড় করে দেখান, যখন উদ্ধার হয়, তা যদি সমানভাবে দেখাতেন, তাহলে তো বাংলাদেশের এই বদনামটা হতো না।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘যারা আমাদের কাছে এসব প্রশ্ন করেছিল, এখন মনে হয় যে যখন দেখেছে যে ভেতরে আসলে গুম গুম করেছে, সে রকম গুম গুম ব্যাপার না। তখন তাদের কী অবস্থা, এই প্রশ্ন তাদের কাছে করলে বোধ হয় ভালো হয়। সেটাই আমি মনে করি।’
‘নিজেদের ব্যর্থতার কথা আমেরিকা বলে না’
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আফগানিস্তানে তালেবানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে সেই তালেবানের হাতেই ক্ষমতা দিয়ে চলে এল আমেরিকার সেনারা। বাইডেন সাহেব তুলে নিয়ে গেলেন সবাইকে। আবার সেই রাষ্ট্র চলে গেল আফগানিস্তানে তালেবানদের হাতে। ৪০ বছর তো তারাই রাজত্ব করল। নিজেদের ব্যর্থতার কথা তারা বলে না তো।
আমেরিকার উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভিয়েতনামে ৩০ বছর যুদ্ধ করল। বাংলাদেশে পাকিস্তানিদের মদদ দিল। আমরা কিন্তু আমাদের দেশ স্বাধীন করেছি। তাদের নিজেদের চিন্তা নিজেদের করা উচিত।’
এখন আবার আমেরিকা ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধে সমানে মদদ দিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে। নিষেধাজ্ঞা দিয়ে কার ক্ষতি হচ্ছে? সাধারণ মানুষের ক্ষতি হচ্ছে। একটা দেশ আরেকটা দেশকে নিষেধাজ্ঞা দেয়, এটা কেমন কথা! আমি কিন্তু আমার বক্তৃতায় এ কথা স্পষ্ট বলে এসেছি। এটাও বলেছি, এই যুদ্ধ থামাতে হবে। শুধু অস্ত্র প্রতিযোগিতা আর যুদ্ধ করে শুধু অস্ত্র প্রস্তুতকারী বা অস্ত্র বিক্রিকারী দেশ লাভবান হবে আর আমাদের মতো সাধারণ দেশের মানুষ না খেয়ে মরবে, কষ্ট পাবে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ কেন, ইউরোপের মানুষই তো কষ্টে আছে। আজকে ব্রিটেনে বিদ্যুতের দাম ৮০ ভাগ বৃদ্ধি করেছে। আমি যদি ৪০ ভাগ বৃদ্ধি করি আপনারা কেমনভাবে চিল্লাবেন? তাদের জীবনের সবকিছুই বিদ্যুতে। বাড়ির দরজাও খোলে বিদ্যুতে, চুলাও জ্বলে বিদ্যুতে। আমাদের তো তা না। কাজেই সেখানে কিন্তু এ অবস্থার সৃষ্টি। আমেরিকারও একই অবস্থা। প্রত্যেক জিনিসের দাম বেড়েছে।’
জার্মানির মতো দেশ থেকে শুরু করে অনেকেই কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ফিরে গেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটাই তো বাস্তবতা। হ্যাঁ, আমাদের ওপরও প্রচণ্ড চাপ। অনেক কথা শুনতে হয়েছে। আমি তো কোনো চাপের কাছে মাথা নত করিনি। যেটা আমার প্রয়োজন সেটা আমি করব। হ্যাঁ, যাতে দেশের এনভায়রনমেন্ট নষ্ট না হয়, সেটা নিয়ে সচেতন আছি। এটা নিয়ে আন্তর্জাতিক বহু ফোরামে আমার বিতর্ক হয়েছে। এখন তারা কী বলবে? সামনে পেলেই জিজ্ঞাস করতাম যে এখন কী বলবেন? আবার তো সেই আদি যুগে যেতে হলো।’
- শাহজালালের থার্ড টার্মিনাল পুরোপুরি চালুর অপেক্ষা
- ঈদে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় চলবে ১৫ ফেরি ও ২০ লঞ্চ
- একনেকে ৮ হাজার কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন
- কূপ খননে যুক্ত হচ্ছে তিন বিদেশী কোম্পানি
- পাল্টে যাচ্ছে রাজধানীর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চেহারা
- ঢাকায় দুদিনের সফরে আসছেন কাতারের আমির
- শিল্পে দ্রুত ইভিসি মিটার দেবে তিতাস
- শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেয়ার নির্দেশ
- অর্থনীতিতে গতি ফেরাতে যত পরিকল্প
- বাজার নিয়ন্ত্রণে আরও ক্ষমতা পাচ্ছে সরকার
- যেভাবে জানা যাবে ঢাবি ভর্তি পরীক্ষার ফল
- কুড়িগ্রামে নতুন বাণিজ্য সম্ভাবনা
- হাজারবর্ষী উইন্সডর ক্যাসেলে ইতিহাসের প্রথম ইফতার
- বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস ১৯৭৫ সালের পর বিকৃত করা হয়েছে
- কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চল দেখতে যাচ্ছেন ভুটানের রাজা ওয়াংচুক
- গাজায় নিহত আরও ৭৬, প্রাণহানি বেড়ে প্রায় ৩২৫০০
- ঈদে ট্রেন যাত্রার পঞ্চম দিনের টিকিট বিক্রি শুরু
- মুক্ত গণতন্ত্র বাস্তবায়নে চেষ্টা অব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র
- শহরের চেয়ে গ্রামে বিয়ে-তালাক বেশি
- বদর যুদ্ধ গায়েবি সাহায্যের অনুপম দৃশ্য
- অ্যানেসথেসিয়া ব্যবহারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা
- পরিচালকের সঙ্গে সম্পর্ক বুবলীর, ক্ষমা করবে না পরীমনি
- টাইগারকে এক ‘দিশায়’ থাকতে বললেন অক্ষয়
- তুফান-এর পোস্টার প্রকাশ করলেন, ঝড় তুললেন শাকিব খান
- চুপিসারে বিয়ে সারলেন অভিনেত্রী!
- ‘যখন দলের সাহায্যে আসতে পারব না, অবসর নিয়ে নেব’, বললেন মেসি
- ক্যাম্প ছাড়লেন মোহামেডান খেলোয়াড়রা
- চট্টগ্রাম টেস্টে থাকছেন না হাথুরুসিংহে, দায়িত্ব সামলাবেন কে?
- রেকর্ড ৫২৩ রানের ম্যাচে হায়দরাবাদের জয়
- গরমে যে কারণে বাড়ে বিষণ্নতা
- বিআরটি প্রকল্পের সাত ফ্লাইওভার খুলল
- বুধবার থেকে রাত ৯টার পরও চলবে মেট্রোরেল, বাড়বে সংখ্যাও
- নৃশংসতম গণহত্যার সেই ভয়াল কালরাত
- ডলারের তেজ কমে আসছে, বাড়ছে টাকার মান
- জিরা চাষে তাক লাগিয়েছেন মেহেরপুরের ছালেহা
- ঈদ উপলক্ষ্যে ৪১ রুটে চলবে বিশেষ লঞ্চ
- ২৫ মার্চ রাতে ১ মিনিট ‘ব্ল্যাক আউট’ থাকবে দেশ
- কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ায় চলছে লালন স্মরণোৎসব
- ইচ্ছাকৃত রোজা না রাখার শাস্তি
- সজনের ভারে ন্যুয়ে পড়েছে গাছ
- জনগণের সঠিক প্রতিনিধিত্ব ছাড়া উন্নয়ন হয় না: প্রধানমন্ত্রী
- সপ্তাহ ব্যবধানে সবজি ও পেঁয়াজের দাম কমেছে
- টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকার বদ্ধপরিকর : প্রধানমন্ত্রী
- বিশ্বের সর্বোৎকৃষ্ট স্বাদের চা হচ্ছে বাংলাদেশে
- ইফতারের পর যেসব অভ্যাসে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ে
- ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্টের চেষ্টা বিএনপির পাগলামি : কাদের
- কুষ্টিয়ায় স্বাধীনতা দিবস উদযাপন
- ট্রেনের সামনে সিসি ক্যামেরা বসানোর সুপারিশ
- উত্তরাঞ্চলে খুলছে সম্ভাবনার দুয়ার
- ডলারের সরবরাহ বাড়ছে, জিনিসপত্রের দাম কমছে
- গণভবন আঙিনায় প্রধানমন্ত্রীর ফসলি উঠোন
- বাংলা ভাষাকে অনন্য সম্মান এনে দিয়েছেন শেখ হাসিনা: জয়
- ৫ দিনে পদ্মা সেতুতে সাড়ে ১৫ কোটি টাকা টোল আদায়
- একনজরে নবনিযুক্ত আইজিপি বেনজীর আহমেদের জীবনী
- ‘২০৩০ সালে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের ২৪তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ’
- শাহজালাল বিমানবন্দরে ভিভিআইপি লাউঞ্জ উদ্বোধন
- পদ্মা সেতু দিয়ে দক্ষিণের পথে বাড়ছে বিআরটিসির বাস
- নগদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে সক্রিয় কুচক্রী মহল
- এজেন্টদের বিপদে ফেলছে বিকাশ
- ১৮.৫০ পয়সা ক্যাশ আউট চার্জ! তবুও লসে বিকাশ?
- আগুনে পুড়ল রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৭০ বাড়ি
- বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়
- দেশে তৈরি হলো আড়াই কোটিরও বেশি মোবাইল ফোন
- সাংবাদিকতাকে পুঁজি করে রোজিনার যত কালো অধ্যায়!
- ১০ ও ২০ টাকার নতুন নোট বাজারে আসছে