শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৪ ১৪৩০  

বৈশ্বিক সংকটেও যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে

নিউজ ডেস্ক

কুষ্টিয়ার বার্তা

প্রকাশিত : ০৪:৪৮ পিএম, ৫ ডিসেম্বর ২০২২ সোমবার

বৈশ্বিক অস্থিরতার মধ্যেও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে। চলতি বছরের ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) দেশটিতে ৭ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। গত বছরের একই সময়ের চেয়ে বাংলাদেশ থেকে তাদের পোশাক আমদানির পরিমাণ বেড়েছে ৫০ দশমিক ৯৮ শতাংশ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অফিসিয়াল সোর্স ‘অফিস অব টেক্সটাইলস এন্ড অ্যাপারেল (অটেক্সা)’ স¤প্রতি এই তথ্য প্রকাশ করেছে।

অটেক্সার তথ্য অনুসারে, একই সময়ের মধ্যে সারাবিশ্ব থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানি বেড়েছে ৩৪ দশমিক ৬১ শতাংশ। ফলে ৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ পোশাক রপ্তানি করে যুক্তরাষ্ট্রে তৃতীয় পোশাক রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে অবস্থান ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। ২২ দশমিক ৪৮ শতাংশ শেয়ার নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্ববৃহত্তম পোশাক সরবরাহকারী দেশ চীন। পাশাপাশি ১৮ দশমিক ৫১ শতাংশ শেয়ার নিয়ে ভিয়েতনামের অবস্থান দ্বিতীয়।

যুক্তরাষ্ট্র বরাবরই বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বড় বাজার। প্রায় ১০ বছর আগে সাভারের রানা প্লাজা ধসের পর বাংলাদেশের পোশাক কারখানার কর্মপরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন উঠলে বাজারটিতে রপ্তানি কমে যায়। তবে ওই ঘটনার পর কারখানার কর্মপরিবেশ উন্নয়নে ব্যাপক সংস্কারকাজ করেন উদ্যোক্তারা। ফলে ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি। অন্যদিকে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে ২০১৯ সালে দেশটির অনেক প্রতিষ্ঠান বিকল্প উৎস হিসেবে বাংলাদেশকে বেছে নেয়। তবে করোনার কারণে রপ্তানি আবারো নি¤œমুখী হতে থাকে। সবশেষ গত বছরের মে থেকে বাজারটিতে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি আবার বাড়তে শুরু করে।

যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়ে যাওয়ার পেছনে ২০২০ সালে করোনা মহামারির সময় কারখানা চালু রেখে তৈরি পোশাকের চাহিদা পূরণ করায় এই সুফল পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল। ভোরের কাগজকে অডিওবার্তায় তিনি জানান, করোনা মহামারির মধ্যে অন্যান্য দেশের তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ ছিল। সে সময় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানা খোলা রাখা হয়েছিল। মহামারির মধ্যে তৈরি পোশাক সরবরাহ করায় এই সুফল বাংলাদেশের। পাশাপাশি সা¤প্রতিক সময়ে পোশাক শিল্পের কর্মপরিবেশের উন্নয়নে অনেকগুলো কাজ করেছে বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাক রপ্তানি বাড়ানোর এটাও অন্যতম প্রধান কারণ।
চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে চীন থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি ২৮ দশমিক ৯৪ শতাংশ বেড়েছে এবং ১৭ দশমিক ৭২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। একই সময়ে ভিয়েতনাম থেকে আমদানি ১৪ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে, বছরওয়ারি ৩৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য শীর্ষ পোশাক সরবরাহকারীদের উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি হয়েছে। উচ্চ প্রবৃদ্ধিসহ অন্য শীর্ষ দেশগুলো হলো- ইন্দোনেশিয়া ৫৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ, ভারত ৫৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ, কম্বোডিয়া ৪৬ দশমিক ৫৮ শতাংশ, পাকিস্তান ৪০ দশমিক ১১ শতাংশ এবং দক্ষিণ কোরিয়া ৩৯ দশমিক ৬১ শতাংশ।