যে মাছ ম্যাজিকের মতো কোলেস্টেরল কমাবে
কুষ্টিয়ার বার্তা
প্রকাশিত : ০৩:৩৬ পিএম, ৫ ডিসেম্বর ২০২২ সোমবার

স্যামন, টুনা, সার্ডিন মাছ ভালো ফ্যাটের উৎস। এই প্রজাতির মাছগুলো আসলে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ। এগুলো শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে বিস্ময়করভাবে কাজ করে।
শরীরে এলডিএল কোলেস্টরল বেড়ে গেলে রক্তনালীতে চর্বি জমতে শুরু করে। নালী সংকুচিত হয়ে যায়। রক্ত চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হয়। এর ফলে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। এর থেকে বাঁচার জন্য স্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়ার পাশাপাশি তৈলাক্ত এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া কমাতে হবে। সঙ্গে চাই নিয়মিত ওয়ার্কআউট বা ব্যায়াম। ধূমপান এবং মদ্যপান ছেড়ে দেওয়াই ভালো। কোন কোন খাবার দ্রুত কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে, তার একটা তালিকা এখানে দেওয়া হলো।
দ্রবণীয় ফাইবার
দ্রবণীয় ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার রক্তের প্রবাহে কোলেস্টেরল শোষণ কমাতে সাহায্য করে, ফলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে। এই ধরনের খাবারের মধ্যে অন্যতম হলো লেগিউম, কিডনি বিন, হোল গ্রেইন, ব্রাসেল স্প্রাউট ইত্যাদি।
বাদাম এবং বীজের মতো স্বাস্থ্যকর চর্বি
অস্বাস্থ্যকর চর্বি বেছে নেয়ার পরিবর্তে বাদাম, বীজজাতীয় খাদ্য, অ্যাভোক্যাডো এবং আরো অনেক কিছুর মতো স্বাস্থ্যকর চর্বি জাতীয় খাবার বেছে নিতে হবে।
তৈলাক্ত মাছ
স্যামন, টুনা, সার্ডিন মাছ ভালো ফ্যাটের উৎস। এই প্রজাতির মাছগুলো আসলে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ। এগুলো শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে বিস্ময়করভাবে কাজ করে।
উদ্ভিজ্জ তেলের বদলে অলিভ অয়েল
উদ্ভিজ্জ তেলের তুলনায় অলিভ ওয়েলে ওলেয়িক অ্যাসিড, লিনোলেয়িক অ্যাসিড এবং পামিটিক অ্যাসিডের মতো মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি পরিমাণে থাকে। এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল হলো সবচেয়ে কম প্রক্রিয়াজাত অলিভ অয়েল।
ফল
দ্রবণীয় ফাইবার সমৃদ্ধ অনেক ধরনের ফল রয়েছে যা শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এর মধ্যে আপেল, আঙুর, সাইট্রাস ফল এবং স্ট্রবেরি অন্যতম। এগুলো অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্যের জন্যও সমধিক পরিচিত।
মশলা
আদা, রসুন, হলুদ, কালো মরিচ এবং দারচিনির মতো মশলা হার্টের জন্য অত্যন্ত ভালো। রক্তে কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। মেথি বীজ ফাইবার সমৃদ্ধ। কোলেস্টেরলের রোগীদের রান্নায় এটা ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
ওটস
কোলেস্টেরলের রোগীদের ওটস খেতে বলেন চিকিৎসকরা। কলা মিশিয়ে খাওয়া যায়। ওটসে দ্রবণীয় ফাইবার রয়েছে। শিরায় জমার আগেই মলের মাধ্যমে শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টেরল বার করে দেয়।
সূত্র: নিউজ ১৮