বৃহস্পতিবার   ০২ মে ২০২৪   বৈশাখ ১৮ ১৪৩১  

ওমিক্রনের উচ্চ ঝুঁকিতে কুষ্টিয়া, সতর্ক জেলা প্রশাসন

কুষ্টিয়ার বার্তা

প্রকাশিত : ০১:০৩ পিএম, ২৫ জানুয়ারি ২০২২ মঙ্গলবার

সীমান্তবর্তী জেলা কুষ্টিয়ায় প্রতিদিনই করোনাশনাক্তের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। পাশাপাশি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুও ঘটছে। এরই মধ্যে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের জন্য কুষ্টিয়াকে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ জেলা হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলায় জেলায় করোনাভাইরাস সংক্রমণের এমন দুর্গতি বলে মন্তব্য প্রশাসনের। 

কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসন ও সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় এ জেলায় ২৭৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৯৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩৫ দশমিক ১৪ শতাংশ, যা গতকালের তুলনায় ৩ দশমিক ১৩ শতাংশ বেশি বলে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। তবে আক্রান্তদের অধিকাংশই বাড়িতে চিকিৎসা নেওয়ার কারণে এখনো হাসপাতালে রোগীর চাপ তেমন বাড়েনি। 

ইতোমধ্যে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার জন্য ৫০ শয্যার একটি ওয়ার্ড প্রস্তুত আছে বলে জানান হাসপাতালের আবাসিক কর্মকর্তা ডা. আশরাফুল ইসলাম। 

এদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ১ সপ্তাহে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এরই মধ্যে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন এর জন্য কুষ্টিয়াকে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ জেলা হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর আগে ডেলটা ধরন সংক্রমণের সময়েও কুষ্টিয়া ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছিল।

জেলায় করোনা শনাক্তের সংখ্যা বাড়লেও মানুষ স্বাস্থ্যবিধি একেবারেই মানছে না। মাস্ক না পরেই অধিকাংশ মানুষ শহরে, হাটে, গ্রামে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করছেন। 

কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডাক্তার এ এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘কুষ্টিয়ায় করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলায় জেলায় করোনা সংক্রমণের এমন পরিস্থিতি। তবে মানুষের পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণ করে রেখেছে। করোনার ওমিক্রন ধরনে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে খুব বেশি লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না, তাই বেশির ভাগ রোগীই বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছে। এই হাসপাতালে করোনার জন্য ৫০টি বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’ 

হাসপাতালের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মেজবাউল আলম জানান, ‘এখন পর্যন্ত কুষ্টিয়া জেলায় করোনা পরীক্ষা হয়েছে ১ লাখ ২৪ হাজার ৬২৭ জনের। রিপোর্ট পাওয়া গেছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৪৮৯ জনের। এর মধ্যে ১৯ হাজার ৩৯৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সুস্থ হয়েছে ১৮ হাজার ১৪৩ জন। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২০ জন। হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছে ১৬ জন। আর হোম আইসোলেশনে রয়েছে ৪৬৫ জন।’