শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৪ ১৪৩০  

টসই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে ক্যান্ডি টেস্টের, তবে...

কুষ্টিয়ার বার্তা

প্রকাশিত : ১০:২৫ এএম, ৪ মে ২০২১ মঙ্গলবার

অধিনায়কের কথার সঙ্গে একমত মোহাম্মদ আশরাফুল এবং নাফিস ইকবালও। টস'টাই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে ক্যান্ডি টেস্টের। তবে, এতো বছর সাদা পোশাকের ক্রিকেটে বিচরণ করবার পর এ ধরণের অজুহাত কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে মনে করেন তারা। প্রথম ইনিংসে ব্যাটসম্যানদের দায়িত্বহীন শট নির্বাচনে উইকেট ছুঁড়ে আসাটাই ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছিলো টাইগারদের, বলে মত তাদের।


দ্বিতীয় দিন পর্যন্ত যে উইকেটে ধুন্দুমার ব্যাট চালালো লঙ্কানরা। ২৪ ঘন্টা ঘুরতেই সে উইকেট যেন ব্যাটসম্যানদের বদ্ধভূমি। উইকেটের টার্ন আর বাউন্স রীতিমতো পরীক্ষা নিয়েছে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের। আর বলাই বাহুল্য, সে পরীক্ষায় পাশ মার্কটাও জোটাতে পারেননি তামিম-মুমিনুলরা। বরং শিক্ষানবীশের মতো ছুড়ে এসেছেন নিজেদের উইকেট।

তবে, ম্যাচ হারের কারণ হিসেবে নিজেদের ভুলের চেয়েও টস হারাটাকেই সামনে এনেছেন অধিনায়ক। যা নিয়ে খুব অবশ্য বেশি দ্বিমত নেই নাফিস ইকবাল এবং আশরাফুলেরও। 
তবে, এতোদিন টেস্ট খেলবার পর এ ধরণের অজুহাত খুবই শিশুসুলভ বলে মনে করেন তারা।

সাবেক ক্রিকেটার নাফিস ইকবাল বলেন, টসটা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। কিন্তু, প্রথম ইনিংসে ব্যাটসম্যানরা যেভাবে আউট হয়েছে সবাই এর তো কোন অজুহাত থাকতে পারে না। পিচের কারণে তো উইকেট ছুড়ে আসাটা জাস্টিফাই করা যায় না। বোলিংয়েও প্রথম দিনে আমরা কোন উইকেট পাইনি। যত ভালো উইকেটই হোক, এটা তো ভালো ফল দিতে পারে না। আর শেষ ইনিংসে ব্যাটসম্যানরা যেভাবে খেলেছে, তাতে তাদের পরিকল্পনা কি ছিলো সেটা বেশ কনফিউজিং।

সাবেক অধিনায়ক আশরাফুলের চোখে হারের কারণ আছে আরো একটা। সে কথা শুনলে, নিজেদের ঘরোয়া আসরের দৈন্যতাই ফুটে উঠবে চরমভাবে।

জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক বলেন, আমাদের ঘরোয়াতে আমরা এরকম গুড স্পিন উইকেট পাই না। যেটা শুরুতে ব্যাটসম্যানদের সাহায্য করবে, পরে বোলারদের। আমাদের ঘরোয়া স্পিনারদের কোয়ালিটিও অতো ভালো না। মিরাজ-তাইজুল অনেক অভিজ্ঞ কিন্তু তারা উইকেট কাজে লাগাতে পারেনি। ওদের অভিষিক্ত ক্রিকেটার দুর্দান্ত করেছে।

হারের পোষ্টমর্টেম করতে বসে, আগামীর জন্য পরামর্শও দিয়েছেন অ্যাশ। জানিয়েছেন, জিততে হলে আগে ডেভেলাপ করতে হবে নিজেদের স্কিলকে।

মোহাম্মদ আশরাফুল বলেন, ড্র করতে হলে আমাদের ব্যাটারদের আরো দায়িত্ব নিতে হবে। আমাদের বোলারদের এখনো সে স্কিল নেই, যে আমরা ট্রু উইকেটে ২০ উইকেট নিতে পারবো। আমরা যদি আগামী কয়েক বছর ড্র করতে পারি, তাহলে ধীরে ধীরে জয়টাও অভ্যাস হয়ে যাবে।