মুখে সর্বদা গণতন্ত্রের কথা বললেও নিজ দলেই গণতন্ত্রহীন বিএনপি
নিউজ ডেস্ক:
কুষ্টিয়ার বার্তা
প্রকাশিত : ০৭:২২ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ রোববার
মুখে সর্বদা গণতন্ত্রের কথা বললেও নিজ দলের মধ্যেই গণতন্ত্র নেই বিএনপির। যার ফলে দুর্নীতি-দুঃশাসন, ক্ষমতার অপব্যবহার ও জনভোগান্তির রাজনীতি করার কারণে টানা ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে রাষ্ট্র ক্ষমতার বাইরে দলটি। এই অবস্থায় দলের মধ্যে নেই গণতন্ত্র। ভেঙে পড়েছে চেইন অব কমান্ড।
সম্প্রতি বিএনপির একাধিক সিনিয়র ও দায়িত্বশীল নেতার সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে। তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকায় সাংগঠনিকভাবে দল আজ বিপর্যস্ত। দলের মধ্যে কোন গণতন্ত্র নেই। সিনিয়রিটি বা জুনিয়রিটি নেই। দলের ক্ষমতা চলে গেছে ব্যবসায়ীদের হাতে। টাকার কাছে বিক্রি হয়েছে বিএনপির আদর্শ। ফলে নীতিনির্ধারকদের পরামর্শ ছাড়াই একক নেতৃত্বে চলছে বিএনপির কার্যক্রম।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির সিনিয়র ও দায়িত্বশীল এক নেতা বলেন, মামলার বেড়াজালে আবদ্ধ দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। মহাসচিবসহ স্থায়ী কমিটির সদস্য নির্দেশ পালনে ব্যস্ত। এমন অবস্থায় দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্দিহান কর্মী-সমর্থকরা।
কণ্ঠে হতাশার সুর নিয়ে তিনি বলেন, যে দলের চেয়ারপার্সন নিষ্ক্রিয়, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান একাধিক মামলার দণ্ড মাথায় নিয়ে লন্ডনে পলাতক, মহাসচিবের ভূমিকা পুতুল মহাসচিবের ন্যায়। সে দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে নেতাকর্মীরা অন্ধকারে থাকবে এটাই স্বাভাবিক। ব্যক্তি স্বার্থের কারণে দলের মধ্যে ত্যাগী ও মেধাবীদের আজ নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়েছে। এর ফলে ভেঙে পড়েছে দলের সাংগঠনিক কাঠামো। টাকা দিয়ে কেনা যাচ্ছে পদ-পদবি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, চরম দুর্নীতি ও দুঃশাসনের কারণে বিএনপি আজ জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন। আন্দোলনের নামে বারবার শক্তি ক্ষয় করে সাংগঠনিকভাবেও তারা বিপর্যস্ত।
তারা বলেন, বিএনপির মধ্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা দরকার। দলটির মহাসচিব যদি নির্বাচিত মহাসচিব হতেন তাহলে দলে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারতেন। কিন্তু কারো দয়ায় মহাসচিব হওয়ার কারণে তিনি শুধু হুকুম পালনে ব্যস্ত। বিএনপির মহাসচিবের পথটি এখন শুধুমাত্র পুতুল মহাসচিবের পদ। বিএনপিকে ঘুরে দাঁড়াতে হলে দলের মধ্যে আগে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দলের ক্ষমতায়নে ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে হবে। দায়িত্ব দিতে হবে মেধাবী ও তরুণদের।