শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৪ ১৪৩০  

খোকসায় প্রতারণা করে কোটি টাকা হাতিয়ে নিলো শিক্ষক!

নিউজ ডেস্ক

কুষ্টিয়ার বার্তা

প্রকাশিত : ০৯:০৮ পিএম, ১৪ অক্টোবর ২০২০ বুধবার

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় চাকরি দেয়া ও ব্যবসায়ের আমানতের কথা বলে ১০ জনের কাছ থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন নাজমুছ সালেহীন নামে এক শিক্ষক। 

গত ৮ সেপ্টেম্বর প্রতারণার এ মামলায় উপজেয়ার মাশিলিয়া গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে মোটা অংকের অর্থ ব্যয় গত ৮ অক্টোবর জামিনে মুক্তি পেয়ে উল্টো ভুক্তভোগী পরিবারে হুমকি দেয়া শুরু করেছেন তিনি।

প্রতারক নাজমুছ সালেহীন একই এলাকার আনছার আলী মোল্লার ছেলে এবং সুনামগঞ্জের দোয়ারা বাজারের সোনাপুর এস ডি পি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

জানা গেছে, এই প্রতারক শিক্ষক চাকুরি দেয়ার আশ্বাস ও ব্যবসার জামানতের কথা বলে উপজেলার ১০ যুবকের কাছ থেকে প্রায় এক কোটি টাকা আত্মসাতের করেছেন। তিনি এলাকায় খোকসার শাহেদ নামে পরিচিত। গ্রেফতারের পর থেকেই একের পর এক তার প্রতারণার কাহিনী উঠে আসতে শুরু করেছে।

মামলার বাদী খোকসার নিশ্চিন্তবাড়ীয়ার শামীমুল ইসলাম জানান, ব্যবসা করার কথা বলে নাজমুছ ছালেহীন তার কাছ থেকে জামানত বাবদ দফায় দফায় মোট সাড়ে ৬ লাখ টাকা নিয়েছে। বিভিন্ন সময়ে তার কাছে জামানতের টাকা ফেরত চাইলে তালবাহানা করে টাকা দেয় না।

এছাড়া অনুসন্ধানে জানা গেছে, একই ভাবে সিলেটের হাফিজ মোস্তাক আহমদের কাছ থেকে তিনি ১৫ লাখ টাকা নিয়েছে সে। এছাড়া বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরি দেয়ার কথা বলে খোকসার এস এম আনোয়ারের কাছ থেকে সাড়ে ৪ লাখ, আব্দুল লতিফ এর কাছ থেকে ৬ লাখ টাকা, সাজিদুল ইসলামেরর কাছ থেকে ২ লাখ, মনিরুজ্জামান এর কাছ থেকে ২ লাখ এবং হাবিবুল আলম মুর্শিদেরএকাছ থেকে ১৩ লাখ ২০ হাজার টাকা, সিরাজুলের কাছ থেকে ২৯ লাখ ২৯ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। 

সিরাজুল এ বিষয়ে কুষ্টিয়া আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। তবে নাজমুছ ছালেহীন এসব টাকায় একটি এনজিওতে খাটিয়েছেন বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে প্রতারক নাজমুছ সালেহীনের বাবা আনছার আলী মোল্লা বলেন, আমার ছেলের সাথে অনেকদিন যাবত আমার কোনো সম্পর্ক নেই। তবে আমার ছেলের কাছে যারা টাকা পাবেন তাদের বেশ কয়েকজন আমার কাছে এসেছিল।