পারভেজ মোশাররফের মৃত্যুদণ্ডের রায় বাতিল
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
কুষ্টিয়ার বার্তা
প্রকাশিত : ০৯:২১ এএম, ১৪ জানুয়ারি ২০২০ মঙ্গলবার
পাকিস্তানের সাবেক সামরিক শাসক পারভেজ মোশাররফকে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। আর এবার সেই মৃত্যুদণ্ডের রায় বাতিল করেছে লাহোর হাইকোর্ট।
সোমবার এক রায়ে লাহোর হাইকোর্ট জানায়, পারভেজ মোশাররফের বিচারের জন্য যে প্রক্রিয়ায় ওই বিশেষ আদালত গঠন করা হয়েছিল, তা সংবিধানসম্মত হয়নি।
পারভেজ মোশাররফের এক আবেদনের শুনানি শেষে তিন সদস্যের হাইকোর্ট বেঞ্চ বলেছে, যেভাবে ওই মামলা করা হয়েছে, তাও আইনসম্মত হয়নি। এই রায়ের পর মোশাররফের এক আইনজীবী বলেন, এখন থেকেই মোশাররফ মুক্ত।
ইসলামাবাদের ওই বিশেষ আদালত সাবেক প্রেসিডেন্ট মোশাররফের অনুপস্থিতিতেই গত ১৭ ডিসেম্বর তাকে সর্বোচ্চ সাজার আদেশ দেয়। ২০০৭ সালের ৩ নভেম্বর অবৈধভাবে সংবিধান স্থগিত করে জরুরি অবস্থা জারি করায় রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে মোশাররফকে এ সাজা দেয়া হয়।
মোশাররফ কেবলমাত্র তার দেশদ্রোহের অভিযোগের বিচারের জন্য বিশেষ আদালত গঠনকে আইনি চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন। হাইকোর্টের রায়ে আপনা থেকেই মোশাররফের মৃত্যুদণ্ড বাতিল হয়ে যাবে কিনা তা এখনো পরিষ্কার নয়। তবে মোশাররফের আইনজীবীরা এ ব্যাপারে আস্থাশীল।
১৯৯৯ সালে এক সেনা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা দখলের পর ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করা পারভেজ মোশাররফ এখন আছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে।ঢাকা অবশ্য যেভাবে খেলেছে, তাতে তাদের বিদায় নেওয়াটাই প্রাপ্য ছিল। জিততেই হবে—এমন ম্যাচে দলকে ১৫ রানে রেখে বিদায় নিয়েছেন তামিম ইকবাল। এই ১৫ রানে তামিমের অবদান ৩। ১০ বল খেলে করা তামিমের ইনিংসের পর ৭ বল খেলে ০ রান উপহার দিয়ে ফিরেছেন এনামুল হক ও লুইস রিস। ফলে পাওয়ার প্লেতে ৩ উইকেটে মাত্র ২৮ রান তুলতে পেরেছে ঢাকা। এই করুণ দশা পাওয়ার প্লেতেও শেষ হয়নি। এক প্রান্তে মুমিনুল ধরে রাখলে অন্য প্রান্তে আসা যাওয়া চলছিল। একপর্যায়ে ৩১ বলে ৩১ রান করা মুমিনুলও বিদায় নিয়েছেন। ১৩তম ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৬০ রান তুলেছিল ঢাকা।
শাদাব খান ও থিসারা পেরেরা ঢাকাকে এক শ পার করিয়েছেন। ১৩ বলে ২৫ করে পেরেরা ফিরলেও মাশরাফিকে নিয়ে শেষ জুটিতে ৪০ রান এনে দিয়েছেন শাদাব। ১৪ বলের এ জুটিতে মাশরাফির অবদান অবশ্য ২ বলে শূন্য। ৪১ বলে ৬৪ রান করে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলেছেন লেগ স্পিনার শাদাব।
১৪৫ রানের লক্ষ্যে চট্টগ্রামের শুরুটা ছিল বেশ বাজে। মাশরাফির প্রথম ৫ বলেই কোনো রান নিতে পারেননি গেইল, শেষ বলে প্রান্ত বদল করেছেন। পরের ওভারেও একই দশা। ভাগ্যিস, অন্য প্রান্তে জিয়াউর রহমান অন্য মূর্তিতে দেখা দিয়েছেন। ১২ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ২৫ রান করেছেন জিয়া। তিনে নামা ইমরুলও মাশরাফির স্পেলের শেষ দুই বলে দুই ছক্কাসহ তিন ছক্কায় ৩২ রান করেছেন। ৯১ রানে ইমরুল ফেরার পর লক্ষ্যটা বেশ সহজই ছিল চট্টগ্রামের। কিন্তু ক্রিস গেইলের ইনিংসটা চট্টগ্রামের পথ কঠিন করে দিচ্ছিল। পরে শাদাবের বলে ৪৯ বলে ৩৮ রানের ইনিংস শেষ হয়।
অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ এরপর ম্যাচ শেষ করতে দেরি করেননি। ৪ ছক্কায় ১৪ বলে ৩৪ রান করেছেন মাহমুদউল্লাহ। ১৪ বল হাতে রেখেই ম্যাচ শেষ করে এসেছে চট্টগ্রাম।