বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৪ ১৪৩১  

মুজিবনগরে দেখা মিলছে বিরল প্রজাতির হরিয়াল পাখি

নিজস্ব প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার বার্তা

প্রকাশিত : ১০:০৭ পিএম, ২ ডিসেম্বর ২০১৯ সোমবার

মেহেরপুর মুজিবনগর উপজেলার দারিয়াপুর গ্রামের ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকায় বিরল প্রজাতির হলদে পা হরিয়াল পাখির সন্ধান মিলেছে। মেহেরপুর বার্ড ওয়াচিং ক্লাবের সদস্যরা এর সন্ধান পান। এ পাখি আগে সচরাচর দেখা গেলেও এখন আর তেমন দেখা যায় না বলে জানান সংগঠনটির সদস্যরা।

জানা যায়, সংগঠনটির সভাপতি এমএ মুহিত দীর্ঘদিন ধরে পাখি নিয়ে গবেষণা করছেন। তারই উদ্যোগে এ ক্লাবটি গড়ে ওঠে। তিনি ও ক্লাবের উপদেষ্টা সহিউদ্দিন ডিগ্রি কলেজের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাসুদ রেজা সম্প্রতি শীতের পরিযায়ী পাখির সন্ধানে বের হন। এ সময় হঠাৎ দারিয়াপুর গ্রামে সন্ধান পান বিরল প্রজাতির এ পাখিটির। সঙ্গে সঙ্গে এর ছবি ধারণ করেন এমএ মুহিত।

এমএ মুহিত বলেন, শীতের পরিযায়ী পাখির খোঁজে বেরিয়ে দারিয়াপুর পৌঁছে হঠাৎ চোখ আটকে গেল কলকাকলি মুখর একটি বটগাছের দিকে। এর কাছাকাছি গিয়ে লক্ষ্য করলাম অনেক পাখির মাঝে একটি হলদে পা হরিয়াল রয়েছে। ডালে বসে বটের টকটকে লাল ফল খাচ্ছে। খুবই আনন্দ হলো পাখিটি দেখে।

তিনি জানান, বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনামসহ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় পাখিটি আগে ব্যাপক দেখা যেত। এসব পাখি এখন তাদের বসবাসের উপযুক্ত পরিবেশের অভাবে বিলুপ্ত হতে চলেছে।

অধ্যাপক মাসুদ রেজা জানান, আমাদের দেশে অনুকূল পারিবেশ না থাকায় হলদে পা হরিয়াল প্রকৃতি থেকে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। মানবসম্পদের প্রয়োজনে বট, পাকুড়, খেজুর, ডুমুর ও নাকুড়গাছ কেটে ফেলার কারণে তাদের আবাসস্থল ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। গাছ সংরক্ষণ ও জনসচেতনতা গড়ে তুলতে পারলে এই বিরল প্রজাতির পাখি সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে।

মেহেরপুরের গাংনী সরকারি ডিগ্রি কলেজের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক (অব.) এনামুল আযীম জানান, হলদে পা হরিয়ালকে ছাত্রজীবনে গ্রামাঞ্চলে বিভিন্ন বট, পাকুড়, নাকুড় গাছে ঝুলে ঝুলে ফল খেতে দেখতাম। তবে অনেক দিন ধরে এই পাখি আমাদের চোখের আড়াল হয়ে গেছে।