শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৪ ১৪৩০  

দৌলতপুরে মা ও ছেলের হত্যার মূল আসামী গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার বার্তা

প্রকাশিত : ১০:০৯ পিএম, ২০ নভেম্বর ২০১৯ বুধবার

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় মা ও ছেলের হত্যার ঘটনার প্রাথমিক কারণ নিশ্চিত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মূলত, চুরির ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিনে ফেলায় হত্যার ঘটনা ঘটেছে। মাকে হত্যার বিষয়টি ছেলে দেখে ফেলায় তাকেও হত্যা করা হয়েছে। হত্যায় জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ এ তথ্য জানতে পেরেছে।

পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তার যুবক আরও কয়েকজনের নাম জানিয়েছেন। তাঁদের সংখ্যা দশের অধিক নয় বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার যুবকের নাম লালচাঁদ মণ্ডল (২৮)। গতকাল মঙ্গলবার রাতে দৌলতপুর উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি।

কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাতের সম্মেলনকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে বুধবার দুপুরে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে তথ্য জানান কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোস্তাফিজুর রহমান ও (ভেড়ামারা সার্কেল) এস এম আল-বেরুনী। এ সময় সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) আজাদ রহমান ও দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ায় নিহত ছানোয়ারা খাতুন (৫০) ছেলে রাজকে (৮) নিয়ে বাড়িতে একাই থাকতেন। গত রোববার রাত ১২টার দিকে লালচাঁদসহ বেশ কয়েকজন চুরির উদ্দেশ্যে ছানোয়ারার ঘরে ঢোকেন। এ সময় ছানোয়ারা টের পেয়ে ঘরের আলো জ্বালান। ঘরে ঢোকা কয়েকজনকে তিনি চিনে ফেলেন। এতে তাঁরা ছানোয়ারাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। এর আগে ধস্তাধস্তিতে মায়ের গোঙানি শুনে ছেলে রাজ ঘরে ছুটে যায়। এতে রাজকেও একইভাবে হত্যা করে পাশের ঘরে ফেলে রাখা হয়।

কোনো কিছু চুরি হয়েছিল কি না জানতে চাইলে লালচাঁদকে গ্রেপ্তারে নেতৃত্ব দেওয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভেড়ামারা সার্কেল) এসএম আল-বেরুনী বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের ধরার পর সব জানা যাবে।

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান বলেন, হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে লালচাঁদকে আজ বিকেলে আদালতে নেওয়া হয়েছে। ১৬৪ ধারায় তাঁর জবানবন্দি নেওয়া হবে। মামলাটি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নিশিকান্ত সরকার তদন্ত করছেন।

উল্লেখ্য, উপজেলার সোনাইকান্দি গ্রামের একটি বাড়ির দুই কক্ষ থেকে সোমবার সকালে ছানোয়ারা খাতুন ও তাঁর ছেলে রাজের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত ছানোয়ারার মেয়ে পারভীনা খাতুন বাদী হয়ে গত সোমবার রাতেই দৌলতপুর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন।