কুষ্টিয়ায় আবাসিক হোটেলে দেহব্যবসার অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার বার্তা
প্রকাশিত : ১০:০৪ পিএম, ১৪ অক্টোবর ২০১৯ সোমবার

কুষ্টিয়া শহরের কোট স্টেশনের দক্ষিণ পাশে অবস্থিত শাহীন আবাসিক হোটেল। আবাসিক হোটেলের নামে পরিচিতি থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে তার আড়ালে চলে আসছে অনৈতিক কাজ। প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে রমরমা এই দেহব্যবসা।
আর এই অবৈধ পতিতালয়ে উঠতি বয়সী ছেলেদের আনাগোনা বেশি। বিশেষ করে স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া ছাত্রদের। এ কারণে ধ্বংস হচ্ছে যুব সমাজ।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন এই ব্যবসা করে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে শাহীন আবাসিক হোটেল কর্তৃপক্ষ। কোট স্টেশনের দক্ষিণ পাশের রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলাচলের সময় ডাকাডাকি করছেন বাবু সোনা আসো বলে রিসিপসনে দাঁড়িয়ে থাকা একজন ব্যক্তি। তারপর ভিতরে ঢোকার অনুমতি নিতে এখানে কিছুই লাগবে না। মাত্র ৩০০ টাকা দিয়েই মিলবে ইচ্ছে মত রমণীদের দেখে শুনে কথা বলে পছন্দ ও অনৈতিক কাজ করার সুযোগ। কয়েকটি রুমে রয়েছে একাধিক নারী। বিভিন্নভাবে কাস্টমদের আকৃষ্ট করতে তারা ব্যস্ত। পছন্দ না হলে ফিরে আসার সুযোগ রয়েছে। সেক্ষেত্রে ফেরত মিলবে না ৩০০ টাকা।
সরেজমিনে দেখা যায়, দরকষাকষির এক পর্যায়ে হোটেল থেকে ফিরে আসতে গেলে যেকোনো একজন একটু আড়ালে ডেকে নিয়ে কিছু অশ্লীল কথোপকথন করে ও বিভিন্নভাবে নিজের শারীরিক অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে নিজেকে জাগান দেওয়ার চেষ্টাও করেন ওইসকল পতিতারা।
কৌশলে পরিচয় জানতে চাইলে ঐ সব নারীরা বলেন পরিচয় লাগবে কেন? পরিচয় দিতে পারবো না, আর এত কথা বলার সময় নেই।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই সকল নারীরা সবাই ভ্রাম্যমাণ পতিতা। এদের বড় ধরনের নেটওয়ার্ক আছে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন এলাকায় পরিবেশ পরিস্থিতি বুঝে এই অবৈধ ব্যবসা করেন তারা।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে শাহীন আবাসিক হোটেলের কর্মরত এক ব্যক্তি জানান, আমার কিছুই করার নেই। আমি এখানে চাকরি করি। হোটেলের মালিকপক্ষ বিভিন্ন বয়সের নারীদের নিয়ে এসে পতিতাবৃত্তি চালিয়ে আসছেন। এই হোটেলে যেকোন সময়ে শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন ধরনের নারীর দেখা মিলবে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে শাহীন আবাসিক হোটেলের ম্যানেজার মিজানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, যা করি ম্যানেজ করে করি। কম বয়সী কেউ এখানে থাকে না। হোটেলে তো কম বেতন তাই মাঝে মাঝে কাজের মহিলা যদি এমন কিছু করে এর জন্য তো হোটেল কর্তৃপক্ষ দায়ী না।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার (ওসি) নাসির উদ্দিন বলেন, তদন্ত করে ওই হোটেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।