বৃহস্পতিবার   ৩০ মার্চ ২০২৩   চৈত্র ১৬ ১৪২৯   ০৮ রমজান ১৪৪৪

 কুষ্টিয়ার  বার্তা
৭৫৪

২৬ ও ২৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় CONE-2019 সম্মেলন

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮  

প্রবাসী বাংলাদেশী প্রকৌশলীদের দক্ষতাকে দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে কাজে লাগাতে ‘কনভেনশন অব এনআরবি ইঞ্জিনিয়ারস্’ (CONE) সম্মেলনে আয়োজন করা হচ্ছে। বিশ্বের ১৩টি দেশ থেকে প্রবাসী প্রকৌশলীদের অংশগ্রহনে সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ঢাকায়। ব্রিজ টু বাংলাদেশ (বিটুবি) এর আয়োজনে এবং ম্যাক্স গ্রুপের সৌজন্যে আগামী ২৬ ও ২৭ ফেব্রুয়ারি’১৯ রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হবে।

সম্মেলন উপলক্ষে শনিবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টায় রাজধানী ঢাকায় ম্যাক্স গ্রুপের কার্যালয়ে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাটি সম্মেলনের লাইভ স্ট্রিমিং (সরাসরি প্রদর্শন) পার্টনার ‘লাইভ টু ওয়েব’ এর মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।

আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান ড. নাজমুল উলার সঞ্চালনায় প্রস্তুতি সভায় আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ম্যাক্স গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক কাজী ইয়ামিনুর রশিদ তুর্য, ব্রিজ টু বাংলাদেশের ভাইস চেয়ারম্যান শন চৌধুরী, আয়োজক কমিটি নির্বাহী সদস্য এনায়েতুর রহমান ও ড. সদরুল উলা। সভায় টেক্সাসের হিউস্টন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অংশগ্রহণ নেন কোন (CONE) সম্মেলন-২০১৯-এর কনভেনর এবং ব্রিজ টু বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আজাদুল হক।

সভায় আলোচকরা বলেন, কোন (CONE) সম্মেলন-২০১৯ এর মূল উদ্দেশ্য হলো সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে থাকা সকল নন রেসিডেন্ট বাংলাদেশী ইঞ্জিনিয়ার্স আছেন তাদেরকে সংগঠিত করা। যারা অনেক দিন ধরে চেষ্টা করেন বাংলাদেশকে কিছু দেয়ার জন্য। তারা বাংলাদেশের জন্য অনেক দিন ধরে কাজ করছেন। ম্যাক্স গ্রুপ এ কাজকে বাস্তবায়ন করার জন্য এ কনভেনশনের আয়োজন করেন।

ম্যাক্স গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক কাজী ইয়ামিনুর রশিদ তুর্য বলেন, দক্ষতার অভাবে অনেক সময় আমাদের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ভালোভাবে কাজ করতে পারেন না। তাদের সামনে এনআরবি ইঞ্জিনিয়াররা তাদের প্রজেক্টসমুহ উপস্থাপন করে কিভাবে তা বাস্তবায়ন করা যায় তা তুলে ধরবেন। এর মাধ্যমে আমরা একটা দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে পারব।

ড. নাজমুল উলা বলেন, পশ্চিমাদেশের মত বাংলাদেশেও সরকারের সম্পৃক্ততা না থাকলে বহুমুখী উন্নয়নমূলক কাজ বাস্তবায়ন করা কষ্টকর। আমাদের মূল উদ্দেশ্য হলে স্থানীয় ইঞ্জিনিয়ারদের সাথে প্রবাসী দক্ষ ইঞ্জিনিয়ারদের সমন্বয় ঘটানো। অনেকে আমাদের প্রশ্ন করছেন, এখানে আপনাদের সফলতা কি? এটা তখনই হবে যখন আমরা ৫টি থেকে ১০টি বাস্তব এবং সমন্বয় যোগ্য প্রেগ্রামের বাস্তবায়ন করতে পারবো। যদি তা করতে পারি তাহলে এটাই হবে আমাদের সফলতা।

এনায়েতুর রহমান বলেন, ১ শত জন ইঞ্জিনিয়ার তৈরি করতে আমার অনেক সময় লেগেছে। অনেকে এসেছেন আবার অনেকে চলে গেছেন। আমি কিন্তু বসে থাকিনি। সরকারের সহযোগিতা পেলে আমার এখানে আরো অনেক ইঞ্জিনিয়ারকে যুক্ত করতে পারবো। বাংলাদেশে উন্নয়নমূলক অনেক কাজ হয়েছে। এনআরবি ইঞ্জিনিয়ারদের বাংলাদেশে এসে এসব উন্নয়ন স্বচক্ষে দেখে যাওয়া দরকার। বাংলাদেশের তরুণ ইঞ্জিনিয়াররা দারুণ দক্ষ ও পরিশ্রমী।

ড. সদরুল উলা বলেন, আমি ১৯৭৩ সাল থেকে বিদেশে আছি। সব সময় দেশের জন্য কিছু করার ইচ্ছা জাগে। দেশে অনেক ভালো ভালো কাজ হচ্ছে কিন্তু দক্ষ লোকের অভাবে তা যথাযথ ভাবে হচ্ছে না। আশা করি দেশীয় ইঞ্জিনিয়ারদের সাথে এনআরবি ইঞ্জিনিয়ারদের সমন্বয়ে আমরা ভালো কিছু করতে পারবো।

ব্রিজটুবাংলাদেশ এর ভাইস চেয়ারম্যান শন চৌধুরী বলেন, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সাথে সমন্বয় করাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য।

ব্রিজটুবাংলাদেশ চেয়ারম্যান আজাদুল হক বলেন, ম্যাক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোহাম্মদ আলমগীর এই সম্মেলনের স্বপ্নদ্রস্টা। তিনি নিউ ইয়র্কের একটি সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৫ শত ইঞ্জিনিয়ারকে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সেখান থেকেই কোন সম্মেলনের ধারণাটা শুরু হয়। পরবর্তীতে আমি যখন বাংলাদেশে যাই তখন এটাকে বড় করে একটা আন্তর্জাতিক কনভেনশনের আয়োজনের চেষ্টা করি।

তিনি বলেন, শুধু মাত্র আমেরিকা থেকে নয়, এ সম্মেলনে বিশ্বের ১৩টি দেশ থেকে প্রবাসী প্রকৌশলীরা অংশগ্রহন করবেন। আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে এই প্রবাসী প্রকৌশলীদের কিভাবে সম্পৃক্ত করা যায় সেটি নিয়ে কাজ করা। সাথে সাথে বাংলাদেশের জন্য উপযোগী প্রকল্প সেখানে উপস্থাপন করবেন। আমরা তাদেরকে সহযোগীতা করবো, কিভাবে এগুলো বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাস্তবায়ন করা যায় সে ক্ষেত্রে।

তিনি আরও বলেন, কোন (CONE) সম্মেলন-২০১৯ এর মূল অডিয়েন্স হচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। আমরা সরকারের ১২টি মন্ত্রণালয়কে আমন্ত্রণ জানাব। সঙ্গে সঙ্গে তাদের ৪ শত বিভাগকে আমন্ত্রণ জানাব। উপস্থাপন করা প্রজেক্টগুলোকে পরবর্তীতে জার্নাল আকারে প্রকাশ করা হবে। ব্যক্তিগতভাবে দেশের উন্নয়নমূলক কাজে অংশগ্রহণ করতে গিয়ে অনেকেই হতাশ হয়ে পড়েন। কারণ তারা জানেন না, কিভাবে সরকারি প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করা হয়। তাই আমাদের সম্মিলিত চেষ্টার মাধ্যমে আমরা সহজে এগুলো সরকারের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে পারবো।

 কুষ্টিয়ার  বার্তা
 কুষ্টিয়ার  বার্তা
এই বিভাগের আরো খবর