সোমবার   ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩   আশ্বিন ৯ ১৪৩০   ১০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

 কুষ্টিয়ার  বার্তা
২৩৬৪

জমে উঠেছে চুয়াডাঙ্গার পশু হাট

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৯ আগস্ট ২০১৯  

চুয়াডাঙ্গার সরকারের নিবন্ধিত ১০টি পশুহাট জমে উঠেছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে পশু বেচাকেনা। ভারতীয় গরু কম হওয়ায় দেশি গরুর চাহিদা বেশি। আর চাহিদার কারণে এবার গরুর দাম চড়া।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ১০টি নিবন্ধিত পশু হাটের মাধ্যে আলমডাঙ্গা পশুহাট, দামুড়হুদার ডুগডুগি ও জীবননগর  উপজেলার শিয়ালমারী পশুহাট ।

হাট ব্যবসায়ী আব্দুল হান্নান জানান,তিনটি হাটে সাধারনত  ৪০ থেকে ৪৫ কোটি টাকার গরু বেচাকেনা হয়। সপ্তাহে ডুগডুগি ও শেয়ালমারীসহ জেলার পশুহাটগুলোতে প্রায় ২০০ কোটি টাকার বেচাকেনা হবে। ডুগডুগি সপ্তাহের সোমবার, আলমডাঙ্গা বুধবার, শেয়ালমারী পশুহাট বৃহস্পতিবারে বসে । শুধুমাত্র চুয়াডাঙ্গা নয় বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তর থেকে পাইকারী ক্রেতা আসে এসব হাটে।

বুধবার আলমডাঙ্গা পশুহাট ঘুরে দেখা গেছে, হাটে প্রচুর কোরবানী পশু উঠেছে । স্থান সংকুলান না হওযায় বিপাকে পড়তে হয় ক্রেতা-বিক্রেতাদের । হাটে ব্যাপক সমাগম হলেও বড় গরু কেনার ক্রেতা ছিল কম ।তবে মাঝরি গরুর ক্রেতা ছিল বেশি। বিশেষ করে ৪০ থেকে ৮০-৯০ হাজারের মধ্যে ।

হাট ব্যবসায়ী রাইয়ান জোয়ার্দ্দার জানান, বড় গরুর ক্রেতা আজকের হাটে কম। ডেঙ্গু ও বন্যার কারণে ব্যবসায়ীরা  বড় গরু কেনার ঝুঁকি নিচ্ছেন না ।মাঝারি গরু ঢাকা থেকে ফিরে আসলেও স্থানীয় হাটে বিক্রয় হবে । বড় গরু বিক্রয় করা সম্ভব হয় না । খামারিরা ভাল দাম পাওয়ার আশায় দেশের বৃহত্তর হাট গুলোতে গরু নিতে শুরু করেছেন।

নারায়নগঞ্জের বন্দর মিনারবাড়ী সিকান্দার ফার্ম হাউজের গরু সরবরাহকারি আইনাল হক বলেন, চুয়াডাঙ্গার গরু বেশির ভাগই ভ্যাকসিন মুক্ত এবং প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠার কারণে এসব গরুর চাহিদা বেশি।

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা ও দর্শনা সীমান্তবর্তী এলাকাবাসী প্রায় একমাস আগে অবৈধভাবে ভারত থেকে গরু আসতে শুরু করেছিল।

চুয়াডাঙ্গা সদর প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা.আহামশামিমুজ্জামান জানান, পশুহাটগুলোতে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করাসহ সার্বিক কাজে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে প্রাণি সম্পদ উপজেলা টিম সহযোগিতা করছে। তিনি আরও জানান, জেলায় কোরবানী যোগ্য পশু রয়েছে ১ লাখ ৮০ হাজার ৬৩৩ টি।

চুয়াডাঙ্গা বিজিবি-৬ এর  উপ-অধিনায়ক মেজর  আহম্মেদ জানান, চুয়াডাঙ্গার ঠাকুরপুর -মুন্সিপুর বোর্ডার দিয়ে সাধানরত অধিকাংশ ভারতীয় গরু অবৈধ পথে বাংলাদেশ প্রবেশ করে। এবার ভারতীয় গরু যাতে প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য অতিরিক্ত জনবল নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

তিনি আরো জানান, চলতি মাসে উল্লেখযোগ্য পরিমান অবৈধ গরুও আটক করেছি ।তাছাড়া ঈদকে সামনে রেখে পশুহাট গুলোতে জাল নোট পরীক্ষার মেশিন স্থাপন করেছি । যাতে অপরাধীরা জাল নোট ব্যবহার করে যেন সাধারণ জনগণকে প্রতারিত করতে না পারে।

 কুষ্টিয়ার  বার্তা
 কুষ্টিয়ার  বার্তা
এই বিভাগের আরো খবর