বৃহস্পতিবার   ৩০ মার্চ ২০২৩   চৈত্র ১৬ ১৪২৯   ০৮ রমজান ১৪৪৪

 কুষ্টিয়ার  বার্তা
৫৪

বডি ল্যাঙ্গুয়েজ বোঝার সহজ কৌশল

প্রকাশিত: ২৬ জানুয়ারি ২০২৩  

বডি ল্যাঙ্গুয়েজ একটি মজার ব্যাপার। যারা বেশি কথা বলতে পছন্দ করেন না তাদের বুঝতে পারা বেশ কঠিন। এখানেই বডি ল্যাঙ্গুয়েজ ভূমিকা রাখতে পারে। মানুষের শরীর অবচেতনে অনেক অভিব্যক্তি প্রকাশ করে ফেলে। মুখে না বললেও তখন অনেক কিছুই বুঝে ফেলা যায়। যদি কাউকে ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করা যায় তাহলে তার শারীরিক ভঙ্গি দেখে তার সম্পর্কে অনেক কিছু জানা সম্ভব। কিন্তু সেজন্য কিছু কৌশল জেনে নিতে হবে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক বডি ল্যাঙ্গুয়েজ বোঝার কৌশল-

চোখের কোণে ভাঁজ

কোনো ব্যক্তি হাসার সময় যখন তার চোখের কোণে ভাঁজ পরে, তার মানে সে মন খুলে হাসছে। এর অর্থ, সেই ব্যক্তির আপনার ওপরে আগ্রহ আছে। সে আপনার আশেপাশে থাকতে পছন্দ করছে। মন খুলে হাসতে পারা সুখী মানুষের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।

হাত এবং পা ক্রস করে রাখা

যখন কোনো ব্যক্তি হাত এবং পা ক্রস করে রাখে, এতে মনে করা হয় সেই ব্যক্তি আপনার কথা বা আপনার উপস্থিতি পছন্দ করছেন না। যখন কোনো ব্যক্তি এভাবে থাকে, এর মানে তিনি আপনার সাথে নিজের কথা বলতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন না। তিনি আপনার আলোচনায়ও অংশ নিতে চান না।

যখন কেউ আপনাকে অনুকরণ করে

যখন কোনো ব্যক্তি আপনার শারীরিক ভঙ্গি বা ক্রিয়াকলাপ অনুকরণ করে, এটি ভালো বিষয়। এর মানে সেই ব্যক্তি আসলেই আপনার সাথে কথা বলতে আগ্রহী। তিনি আপনাকে পছন্দ করেন এবং আপনাকে তার আদর্শ হিসেবে ধরে নেন।

ভ্রু কুঁচকানো

যখন কেউ এমন করে, এর অর্থ তিনি অস্বস্তিবোধ করছেন। তিনি চিন্তিত বা হতাশও হতে পারেন। মাঝে মাঝে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এমনটাও বোঝাতে পারে। কথা বলার সময় যদি কোনো ব্যক্তি এমন করেন অর্থাৎ ভ্রু কুঁচকে রাখেন, এর মানে তিনি আপনাকে পুরোপুরি বিশ্বাস করছেন না।

হাত-পা নাড়াচাড়া করা

আপনি কথা বলার সময় যদি কেউ হাত পা নাড়াচাড়া করেন, এর মানে তিনি বিরক্তবোধ করছেন। যদি কোনো ব্যক্তি ধারাবাহিকভাবে এমন করতেই থাকেন এর মানে তিনি যথেষ্ট অস্বস্তিবোধ করছেন। আর যদি কেউ হাত-পা নাড়াচাড়া না করে শান্তভাবে থাকেন, এর মানে তিনি স্বস্তিতে আছেন।


শুঁয়োপোকার মল থেকে তৈরি চা বেঁচে লাখ লাখ টাকা আয়

সাতসকালে মেজাজ চাঙ্গা করতে নাকি এক কাপ চা যথেষ্ট। অনেকেই জোর দিয়ে এ কথা বলে থাকেন। তবে এ চা তৈরিতে নাকি ব্যবহার হচ্ছে শুঁয়োপোকার মল। শুনে অবাক লাগলেও জাপানি গবেষক সুয়োশি মারুওকা প্রথম এই চা তৈরির বিষয়ে ভেবেছিলেন।

অডিটি সেন্ট্রাল নিউজ ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে নিউজ ১৮।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাপানে চু-হি-চা নামের একটি চা তৈরি করা হয়। এই চা তৈরি করা হয় শুঁয়োপোকার মল থেকে। সুয়োশি মারুওকা নামে এক গবেষক এ চা তৈরি করেছেন।

মারুওকা জানান, একদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর এক সহযোগী অনেক শুঁয়োপোকা নিয়ে আসেন। সেগুলি তাঁকে দিয়ে দেন। তিনি বলেন, এটি এক ধরণের উপহার, যা তিনি কোথাও থেকে পেয়েছেন। সুয়োশি শুঁয়োপোকাগুলি নিয়ে কী করবেন, তা বুঝতে পারছিলেন না।

সুয়োশি পরে জানান, সেই শুঁয়োপোকাগুলি মলের গন্ধ তাঁর খুব পছন্দ হয়েছিল। তারপরেই তিনি ভাবলেন সেটা থেকে চা বানানো যায় কিনা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেই চা খুব বিখ্যাত হয়েছিল বাজারে। সুয়োশি এরপর তিনি ভিন্নভাবে চা বানানোর সিদ্ধান্ত নেন। তিনি ২০টি বিভিন্ন পোকামাকড় এবং ৪০টি ভিন্ন ভিন্ন গাছের সাহায্যে একটি বিশেষ ধরনের চা তৈরি করারা চেষ্টা করছেন।

জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত তিনি ১২ লাখ টাকার বেশি আয় করেছেন। বর্তমানে তিনি আরও বিভিন্ন পোকামাকড়ের সাহায্যে চা তৈরির কথা ভাবছেন। এর জন্য ক্রাউড ফান্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

 কুষ্টিয়ার  বার্তা
 কুষ্টিয়ার  বার্তা