কাবার গায়ে ঠাঁই পেয়ে যে বস্ত্র পায় পবিত্রতার পরশ
নিউজ ডেস্ক:
প্রকাশিত: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯

পবিত্র কাবাঘর। মহিমান্বিত এই কাবা ঘরকে একটি গিলাফ বা বস্ত্রখণ্ড দিয়ে ঢেকে রাখা হয়। এই গিলাফের পারিভাষিক নাম ‘কিসওয়াহ’।
কালো রেশমি কাপড়ে তৈরি গিলাফটির গায়ে স্বর্ণ দিয়ে লেখা থাকে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলাল্লাহ’, ‘আল্লাহু জাল্লে জালালুহু’, ‘সুবহানাল্লাহে ওয়া বিহামদিহি, সুবহানাল্লাহিল আযিম’ ও ‘ইয়া হান্নান, ইয়া মান্নান’।
কাবার গায়ে ঠাঁই পেয়ে সাধারণ এক বস্ত্রখণ্ড পায় পবিত্রতার পরশ। তাই এই জিনিসের প্রতি সব দেশেরই আগ্রহ। গিলাফ পুরনো হয়ে গেলে তা কেটে মুসলিম দেশগুলোকে উপহার দেয়ার রীতি রয়েছে সৌদি আরবে।
কালো গিলাফে আবৃত কাবা শরিফ মুসলিম উম্মাহর আবেগ-অনুভূতির সর্বোচ্চ স্থান।
এ কালো গিলাফ যেন পবিত্র কাবা শরিফকে অপার্থিব গভীর ভালোবাসায় জড়িয়ে আছে। পবিত্র কাবা শরিফকে ঘিরে রাখা এ গিলাফের আর্ট ও সোনার সুতায় বোনা ক্যালিওগ্রাফি মুমিন মুসলমানের হৃদয়ে তৈরি হয় ভালোলাগা, ভালোবাসা ও অনুভূত হয় অন্যরকম এক মায়াবি আকর্ষণ।
কাবাঘরের দরজার পর্দাটিকে বলা হয় ‘বোরকা’। এটাও কালো রেশম কাপড় দিয়ে তৈরি। এতে ইসলামি নকশা ও কোরআনের আয়াত লেখা থাকে। এ লেখাগুলোও সোনা ও রুপার চিকন তার দিয়ে এমব্রয়ডারি করা হয়। অক্ষরগুলো সোনালি আভায় উদ্ভাসিত। যা দেখলে পর্যটক তার দৃষ্টি সরিয়ে ফেলার দুঃসাহস করতে পারে না।
কবে থেকে কাবা শরিফে গিলাফ ব্যবহৃত হয় তার সুস্পষ্ট ইতিহাস জানা না গেলেও একসময় কাবা শরিফের বাইরের মতো ভেতরেও গিলাফে আবৃত করা হত কাবার দেয়াল, যা এখন করা হয় না।
সৌদি আরবের বিখ্যাত উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড. নাসের বিন আলি আল-হারেসির তথ্য থেকে জানা যায়-
‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সময়েও পবিত্র কাবা শরিফে গিলাফ ব্যবহৃত হত না। কাবাঘরে গিলাফ ব্যবহারে সঠিক তারিখ জানা না গেলেও পবিত্র নগরী মক্কা ও তায়েফে প্রাপ্ত শিলালিপিতে খচিত আরবি ক্যালিওগ্রাফি সূত্রে জানা যায় যে, ৪০ হিজরি সনের দিকে আরবি ক্যালিওগ্রাফি উন্নত স্টাইল তখন অধিক প্রচলিত ছিল।’
বর্তমান সময়ে যে স্টাইলের আদলেই পবিত্র কাবা শরিফের গিলাফে সোনার সুতায় আরবি ক্যালিওগ্রাফি খচিত হচ্ছে। কাবাঘরের গিলাফে আরবি নান্দনিক ক্যালিওগ্রাফি উপস্থাপনের বিষয়ে ড. মুহাম্মদ বিন হুসাইন আল-মাওজানের গবেষণায় যে তথ্যে উঠে এসেছে, তাহলো-
মিসরের মামলুক সালতানাতের আমলে কাবার ভেতর ও বাইরে আলাদাভাবে গিলাফে আবৃত করা হত এবং তাতে আরবি ক্যালিওগ্রাফি দিয়ে অলঙ্কৃত করা হত। ৭৬১ হিজরিতে মামলুক আমলের সুলতান নাসের হাসান বিন মুহাম্মদ বিন কালাউনের সময় কাবার ভেতরের ক্যালিওগ্রাফি খচিত গিলাফের একখণ্ড এখনো সংরক্ষিত আছে।
তবে কাবার গিলাফের ভেতর-বাইরে উভয় অংশে শৈল্পিক এবং নয়নাভিরাম ক্যালিওগ্রাফির অলঙ্করণ শুরু করেন তুর্কি উসমানিয় সুলতানরা। তাদের সময়ে ক্যালিওগ্রাফির সবচেয়ে নান্দনিকশৈলী সুলুস ও জালি সুলুসের ব্যবহার শুরু হয়।
মামলুক সুলতানদের সময়ে রায়হানি ও মুহাক্কাকশৈলীর কায়রো ধারায় ক্যালিওগ্রাফি ব্যবহৃত হত। তবে কাবার চারপাশে মসজিদে হারামে কুফি কাইরোয়ানি, জাহরি-নাবতি লিপির অলঙ্করণ ছিল।
১৩৪৬ হিজরিতে কাবা শরিফের গিলাফ তৈরিতে বিশেষ কারখানার বিষয়টি সামনে আসে এবং তৎকালীন সৌদির বাদশাহ আব্দুল আজিজ আল-সৌদের নির্দেশ ক্রমে গিলাফ বা কিসওয়া তৈরির কারখানা প্রতিষ্ঠা করা হয়।
১৩৪৬ সালে ওই কারখানায় নির্মিত অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর ক্যালিওগ্রাফিতে সজ্জিত কালো গিলাফ দ্বারা আবৃত করা হয় পবিত্র কাবা শরিফ। বিশ্ববিখ্যাত ক্যালিওগ্রাফারদের এক সম্মেলন আহ্বান করা হয়। সেখানে সুলুসলিপিতে গিলাফ অলঙ্কৃত করার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
বর্তমান সময়ের বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিখ্যাত ক্যালিওগ্রাফার মুখতার শোকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তার তথ্য থেকে আরো জানা যায়, ‘কাবা শরিফের গিলাফের বাইরের কালো কাপড়ে স্বর্ণমন্ডিত রেশমি সুতা দিয়ে দক্ষ কারিগর দিয়ে ক্যালিওগ্রাফি করা হয়।’
তারপর ঝারনিখ কালি দিয়ে প্রথমে কাপড়ে ক্যালিওগ্রাফির আউটলাইন দেয়া হয়, তারপর কারিগররা হরফের ভেতর রেশমি সুতার মোটা লাইন বসিয়ে স্বর্ণের সুতা দিয়ে বিশেষ পদ্ধতিতে হরফ ফুটিয়ে তোলেন। গিলাফের কালো জমিনে স্বর্ণের সুতার ঢেউ খেলানো বুননের ক্যালিওগ্রাফির সোনালি আভা এক জান্নাতি আবেশ ছড়িয়ে দেয়।
বাদশাহ ফাহদ বিন আবদুল আজিজের সময় থেকে গিলাফের প্রধান ক্যালিগ্রাফার হিসেবে সৌদি বংশোদ্ভূত আবদুর রহিম আমিন বোখারি দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ক্যালিওগ্রাফি হিসেবে কোরআনের আয়াত, আল্লাহতায়ালার গুণবাচক নাম বিশেষ নকশা আকারে উপস্থাপন করা হয়।
হজরে আসওয়াদের ওপর অংশে আল্লাহু আকবর ক্যালিওগ্রাফিসহ বর্তমানে গিলাফের অধিকাংশ ক্যালিওগ্রাফি মুখতার শোকদারের হস্তলিখিত।
প্রতি বছর কাবা শরিফে গিলাফ পবিত্র হজের দিন সকাল তথা ৯ জিলহজ পরিবর্তন করা হয়। বর্তমানে কাবা শরিফে গিলাফ নির্মাণে যেসব জিনিসপত্র প্রয়োজন হয় তাহলো-
পবিত্র নগরী মক্কার উম্মুল জুদ এলাকায় গিলাফ তৈরির বিশেষ কারখানা অবস্থিত। এ কারখানায় দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যানেজার হলেন মুহাম্মদ বিন আব্দুল্লাহ। তার দেয়া তথ্যে কাবা শরিফের গিলাফের হিসেব-
> নতুন গিলাফ তৈরি করতে ১২০ কেজি সোনার সুতা, ৭০০ কেজি রেশম সুতা ও ২৫ কেজি রুপার সুতা লাগে।
> গিলাফটির দৈর্ঘ্য ১৪ মিটার এবং প্রস্থ ৪৪ মিটার।
> গিলাফের সেলাই কাজে অংশগ্রহণ করে দেড় শতাধিক অভিজ্ঞ দর্জি।
> গিলাফ তৈরিতে ব্যবহার করা হয় বিশেষ মেশিন।
উল্লেখ্য, সোনা ও রুপা নির্মিত সুতা দ্বারা কালো সিল্কের কাপড়ের ওপর কোরআনুল কারিমের আয়াত অঙ্কনের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। কাবা শরিফের গিলাফ তৈরির পর তা বিশেষ বৈদ্যুতিক প্রক্রিয়ায় তাপ দেয়া হয়। যাতে তা প্রচণ্ড রোদ ও তাপের কারণে অবিকৃত থাকে। পবিত্র কাবা শরিফের গিলাফ তৈরিতে খরচ হয় প্রায় ২০ মিলিয়ন সৌদি রিয়াল।

- প্রয়োজনে বলপ্রয়োগ করে হলেও তাইওয়ান দখল করা হবে: চীন
- ৭ রানে ২ ওপেনারকে হারাল জিম্বাবুয়ে
- রেলের ডিজিটালাইজেশনে সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গে আলোচনা
- স্বপ্ন জয়ে উপকূলীয় কিশোরীদের পাশে সেনোরা
- সৈন্যরা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকবে: চীন
- আগস্টেও রেমিট্যান্সের ঢল, এক সপ্তাহেই এলো ৫ হাজার কোটি
- এনআইডি ও পিএসসি সনদ জালিয়াতি, শিক্ষকসহ ২ জনের জেল
- ঢামেকের ইন্টার্ন চিকিৎসককে ঢাবি শিক্ষার্থীদের মারধরের অভিযোগ
- ক্ষমতা দেওয়ার মালিক মহান আল্লাহ: ওবায়দুল কাদের
- ১১ লাখ টাকা পাওনা শোধ করতে সামিয়া রহমানকে ঢাবির চিঠি
- দাঁত শিরশির করে? কী করবেন
- এডিনয়েড অস্ত্রোপচার কখন করা জরুরি?
- ইউটিউবে কে এগিয়ে?
- ইমিগ্রেশন-কাস্টমস-পুলিশ সদস্যদের ‘ভালো ব্যবহারের কোর্স’ করানো হবে
- বিদ্যুতের রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধি, শীতে লোডশেডিং ঝুঁকিতে যুক্তরাজ্য
- দক্ষিণাঞ্চলে নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে
- খোলাবাজারে ডলারের দাম রেকর্ড ১১৯ টাকা
- বিজয়-আফিফের লড়াকু ইনিংসে মাঝারি সংগ্রহ বাংলাদেশের
- মেহেরপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মার্ট আইডি কার্ড বিতরণ
- কুষ্টিয়ায় পাটের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি
- শুক্লপক্ষে মুক্তি পাচ্ছে ‘শুক্লপক্ষ’
- পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন, কমেছে লেনদেন
- ‘কথায় কথায় সরকার ভর্তুকি দেবে, ব্যাপারটা এমন না’
- ৮ বলের মধ্যে নেই ৩ উইকেট, চাপে বাংলাদেশ
- মহাকাশে পাঠানো ইরানের নতুন স্যাটেলাইটের তথ্য প্রেরণ শুরু
- জাপোরিঝজিয়া পরমাণু কেন্দ্রের কাছে রুশ হামলায় নিহত ১৩
- যে গ্রামের শোভা বাড়িয়েছে বাবুই পাখি
- মেহেরপুরে আশা জাগাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের খেজুর
- ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত বহাল, উপকূলে জলোচ্ছ্বাসের আভাস
- নিষিদ্ধ ‘বাটারফ্লাই মাইন’ ব্যবহার করছে ইউক্রেন
- ছেলের মা হচ্ছেন পরীমনি, কেনাকাটায় মিললো আভাস!
- কাঁচামরিচের কেজি ২৫০, বেড়েছে সবজির দামও
- চাষের মাছ উৎপাদনে সেরা তিন দেশের তালিকায় বাংলাদেশ
- দেশিয় ফল শরিফা চাষে সফল গাংনীর বাহাউদ্দীন
- ১৫০ বছরের পুরনো বই কিনে আঁতকে উঠলেন নারী!
- ভারত থেকে আসছে ২ হাজার টন কাঁচামরিচ
- যেভাবেই করি সর্বোচ্চ স্বাদ নিতে চাই, গোপন তথ্য ফাঁস করলেন তুষি
- রাবির `এ` ইউনিটের ফল প্রকাশ, পাসের হার ৫৪ দশমিক ৬০ শতাংশ
- বিশ্ববাজারে সাড়ে ১৪ বিলিয়ন ডলারের প্যান্ট রফতানি বাংলাদেশের
- রেমিট্যান্স ও রফতানিতে বাজিমাত
- সিনেমা করার আগ্রহ বেড়েছে: মাহি
- ঘরোয়া উপায়ে পরিষ্কার করুন কিচেন চিমনি
- জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার পেলেন কুমারখালীর প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা
- বাসে ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনায় আরও দুজন গ্রেফতার
- সালমান খানের দেহরক্ষী হতে চান রাখি সাওয়ান্ত!
- তিন কারণে পুরুষেরও হতে পারে ব্রেস্ট ক্যান্সার
- নারীদের মিলনের চাহিদা কখন বাড়ে, কখন কমে
- মেহেরপুরের মুক্তিযোদ্ধারা পেলেন সার্টিফিকেট ও স্মার্ট আইডি
- খুবই সারপ্রাইজড হলাম: মিম
- ৪০ জেলায় নতুন এসপি

- জুমার আগে বৃহস্পতিবার রাতে যে দোয়া পড়লে মনের আশা পুরণ হয়
- ‘তীরের ক্ষত শুকিয়ে যায় তবে মুখের কথার আঘাত শুকায় না’
- পুরুষের জন্য ‘স্বর্ণ’ ব্যবহার করা কী জায়েজ!
- মৃত্যুর পর মানুষ কবরে থাকবে কতদিন?
- স্কুইড অক্টোপাস ও সামুদ্রিক কাঁকড়া খাওয়া বৈধ?
- সূরা নাস: বাংলা উচ্চারণ ও অনুবাদ
- গালি দেয়া হারাম
- জান্নাত কষ্ট দিয়ে ঢাকা, অলসতা ঝেড়ে ফেলো মুমিন!
- ইসলামের দৃষ্টিতে গান ও বাদ্যযন্ত্র
- ইসলামে কেন খাবারের বৈধতা আছে কেন খাবারে নেই?
- সালাতুল হাজত কেন পড়বেন?
- ইস্তেহাযা অবস্থায় নারীদের বিধি-নিষেধ
- নামাযে যে ভুলগুলো হলে সিজদায়ে সাহু করবেন
- ইফতার ও সাহরি সুন্নাত পদ্ধতিতে করা আবশ্যক
- যে কারণে অহংকার করবে না মুমিন