শুক্রবার   ৩১ মার্চ ২০২৩   চৈত্র ১৬ ১৪২৯   ০৮ রমজান ১৪৪৪

 কুষ্টিয়ার  বার্তা
৯০

পলিথিনের ঘরে বাস করা সেই রিজিয়ার পাশে কুমারখালীর ইউএনও

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৯ ডিসেম্বর ২০২২  

মানসিক প্রতিবন্ধী ছেলে নিয়ে পলিথিন, পাটখড়ি আর বাঁশ দিয়ে বানানো খুপড়ি এক ঘরে চরম দুর্ভোগের মধ্যে মানবেতর জীবনযাপন করা রিজিয়া খাতুনের (৬৫) পাশে দাঁড়িয়েছেন কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিতান কুমার মন্ডল। 

মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসে রিজিয়া খাতুনকে ডেকে নিয়ে গিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেন ইউএনও বিতান কুমার। এ সময় পরিবারটিকে আর্থিক সহযোগিতা করেন তিনি।

অর্থের অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করা রিজিয়া খাতুন ও তার প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে করা ‘এটাই আমার বাড়ি, নেই টিউবওয়েল, টয়লেট ও রাস্তা’ শিরোনামে গত শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) জনপ্রিয় নিউজ পোর্টাল ঢাকা পোস্টে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরে খবরটি বিভিন্ন গণমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি জানতে পেরে ইউএনও বিতান কুমার মন্ডল তার অফিসে ডেকে রিজিয়া খাতুনের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় ইউএনও তাকে ১০ হাজার টাকা আর্থিক সহযোগিতা করেন এবং তাকে সার্বিকভাবে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। 

রিজিয়া খাতুন কুমারখালী উপজেলার সাদকী ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের তারাপুর গ্রামের বাসিন্দা। প্রায় ৩০ বছর আগে তার স্বামী রাজ্জাক মন্ডল স্ট্রোক করে মারা যান। স্বামীর মৃত্যুর পর তার জীবনে নেমে আসে নানা দুঃখ-কষ্ট। তার ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৩৭) মানসিক প্রতিবন্ধী। তার স্বামীর বাড়ি রাজবাড়ী হলেও বিয়ের পর থেকে তারা কুমারখালীতে বসবাস করতেন। স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে রিজিয়া খাতুন পরের বাড়িতে থেকে কাজ করতেন। প্রায় ১০ বছর আগে পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ২ কাঠা জমিতে পলথিনের ঘর করে বসবাস শুরু করেন তিনি ও তার ছেলে। 

রিজিয়া খাতুন বলেন, আল্লাহর কাছে হাজারো শুকরিয়া কুমারখালীর ইউএনও স্যার আমাদের ভাতা, ঘর, টিউবওয়েল, বাথরুম ও ছেলের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি আমাকে ১০ হাজার টাকা দিয়েছেন। তিনি অনেক ভালো মানুষ। আমার সব সমস্যা তিনি সমাধান করে দেবেন। 

এ বিষয়ে কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিতান কুমার মন্ডল  বলেন, রিজিয়া খাতুনের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। এ সময় তাকে কিছু আর্থিক সহযোগিতা করা হয়েছে। তার প্রতিবন্ধী ছেলেকে ভাতার আওতায় আনা হয়েছে। রিজিয়া খাতুনের বিধবা ভাতা প্রদানের চেষ্টা চলমান রয়েছে। ঘর, বাথরুম ও নলকূপ স্থাপনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তার ছেলেকে মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদানের চেষ্টা চলছে। তাদের সকল সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা সার্বিকভাবে সহযোগিতা করব। এটা আমাদের দায়িত্ব।

 কুষ্টিয়ার  বার্তা
 কুষ্টিয়ার  বার্তা
এই বিভাগের আরো খবর