গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সালাহ-ফন ডাইককে নিয়ে শঙ্কায় লিভারপুল

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ শিরোপার দৌড়ে ম্যানচেস্টার সিটির ওপর চাপ ধরে রাখতে এবং নিজেদের সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখতে সাউদাম্পটনের বিপক্ষে জয়ের বিকল্প নেই লিভারপুলের। অথচ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচেই কি-না দলের দুই বড় তারকাকে পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় পড়েছে অল রেডরা।

মূলত ফিটনেস সমস্যায় ভুগছেন মোহাম্মদ সালাহ ও ভার্জিল ফন ডাইক। চেলসির বিপক্ষে গত শনিবার এফএ কাপের ফাইনালে ৩৩তম মিনিটে অস্বস্তি নিয়ে মাঠ ছেড়ে যান সালাহ। কুঁচকির সমস্যায় ভুগছেন মিশরীয় ফরোয়ার্ড। একই ম্যাচে অতিরিক্ত সময়ের শুরুতে পেশির সমস্যায় মাঠ ছাড়েন ডাচ ডিফেন্ডার ডাইক।

সেদিন নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময় গোলশূন্য থাকার পর টাইব্রেকারে জিতে মৌসুমে দ্বিতীয় শিরোপা ঘরে তোলে লিভারপুল। লিগ কাপ ও এফএ কাপ জয় করা লিভারপুল চ্যাম্পিয়ন্স লিগেরও ফাইনালে উঠেছে। সেই সঙ্গে তাদের প্রিমিয়ার লিগ জয়ের আশাও এখনও টিকে আছে।

মৌসুমে চার শিরোপা জয়ের আশা জিইয়ে রাখার মিশনে মঙ্গলবার সাউদাম্পটনের মাঠে খেলবে লিভারপুল। আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে সালাহ ও ডাইকের খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তার কথা বলেন ইয়ুর্গেন ক্লপ।

তিনি বলেন, আমরা দুই দিন আগে ১২০ মিনিট খেলেছি। আমাদের অনেক বিষয়েই সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। অতিরিক্ত এই ৩০ মিনিট বড় পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। আমাদের দলে পরিবর্তন আনতে হবে। জানি না সেটা কত জন।

হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে চেলসির বিপক্ষে খেলতে না পারা ফাবিনহো সাউদাম্পটনের বিপক্ষেও থাকছেন না বলে নিশ্চিত করেছেন ক্লপ। তিনি বলেন, তার পুনর্বাসন প্রক্রিয়া খুবই ভালো চলছে, তবে আগামীকালের ম্যাচে সে থাকছে না।

গত রোববার ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেডের বিপক্ষে ২-২ ড্র করা ম্যানচেস্টার সিটি এখন লিভারপুলের চেয়ে ৪ পয়েন্ট এগিয়ে। ৩৭ ম্যাচে ৯০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে সিটি। এক ম্যাচ কম খেলা লিভারপুরের পয়েন্ট ৮৬।

সাউদাম্পটনের বিপক্ষে লিভারপুল হেরে গেলে সিটির শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যাবে এক ম্যাচ হাতে থাকতেই। আর লিভারপুল জিতলে লড়াই গড়াবে শেষ রাউন্ডে। সেখানে সিটি আবারও পয়েন্ট হারালে অ্যানফিল্ডের দলের সামনে খুলে যাবে সম্ভাবনার দুয়ার।

শেষ রাউন্ডে সিটির প্রতিপক্ষ অ্যাস্টন ভিলা। লিভারপুল খেলবে উলভারহ্যাম্পটন ওয়ানডারার্সের বিপক্ষে। লিভারপুল কোচ ক্লপ অবশ্য মনে করেন না, সিটি পর পর দুই ম্যাচে পয়েন্ট হারাবে।

তিনি বলেন, সুযোগ আছে লিগ জেতার। কিন্তু এটি কি বড় সুযোগ? সবশেষ কবে সিটি পর পর দুই ম্যাচে পয়েন্ট হারিয়েছে, আমার জানা নেই।