সোমবার   ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩   আশ্বিন ১০ ১৪৩০   ১০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

 কুষ্টিয়ার  বার্তা
১২১

পুঁইশাক চাষে হাসি ফুটছে মিরপুরের কৃষকদের মুখে

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ৩০ আগস্ট ২০২৩  

পুঁই শাক চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় কৃষকরা। খরচের তুলনায় লাভ বেশি হওয়ায় পুঁইশাক চাষে মিরপুরের কৃষকদের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছেই।

পুঁইশাক আমিষ জাতীয় খাদ্য এবং লোভনীয়। এই শাকের পাতা ও ডাটা বিভিন্ন রোগ নিরাময়েও বেশ কার্যকরী।

গত বছরের চেয়ে চলতি বছর মিরপুর উপজেলায় পুঁইশাকের আবাদ প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। গত বছর মাত্র ২০ হেক্টর জমিতে পুঁইশাক চাষ হয়েছিল। আর এ বছর তা বেড়ে প্রায় ৫০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। 

উপজেলার বলিদাপাড়া ব্লকে কৃষক তোহিদুল ইসলাম জানান, তিনি দেড় বিঘা জমিতে হাইব্রিড দড়াপুঁই জাত পুঁইশাক চাষ করেছেন। এতে তার ১৪ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ইতিমধ্যে ৩৫ হাজার টাকার পুঁইশাক বিক্রি করেছেন তিনি। আরও পুঁই শাক তার ক্ষেতে রয়েছে। সেখান থেকেও প্রায় ৩০ হাজার টাকা মুনাফা করবেন। অল্প সময়ে বেশি লাভ হওয়ায় আগামীতে আরও বেশি জমিতে পুঁইশাকের চাষ করবেন বলেও জানান তিনি।

নওপাড়া এলাকার রায়হান বলেন, তিনি এক বিঘা জমিতে পুঁইশাক চাষ করেছেন। তার মোট ১১ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এর মধ্যে কেবল প্রথম চালানেই ২৫ হাজার টাকার পুঁইশাক বিক্রি করেছেন। আরও ৫০ হাজার টাকার শাক বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা তার।

ফুলবাড়ীয়া ও চিথলিয়া ইউনিয়নের বেশ কিছু কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ধানসহ অন্য যেকোনো ফসল চাষে খরচ অনেক বেশি। কিন্তু পুঁইশাক চাষে খরচের তুলনায় লাভ কয়েকগুণ বেশি। তাই দিন দিন পুঁইশাক চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে।

মিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল্লাহ আল মামুন কুষ্টিয়ার বার্তাকে জানান, পুঁইশাক আমাদের দেশের জনপ্রিয় এবং বেশ সুস্বাদু ও পুষ্টিকর একটি শাক। সবজি বাজারে প্রায় সার বছরই পুঁইশাকের দেখা পাওয়া যায়। পুঁইশাকের পুষ্টিগুণের কারণে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতাও রয়েছে। তিনি জানান, পুঁইশাক অধিক লাভজনক চাষ। পুঁইশাক সাধারণত দেড় থেকে দুই মাসের ফসল, তাই একই জমিতে বছরে ৬ থেকে ৮ বার চাষ করা যায়।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. তাপস কুমার সরকার কুষ্টিয়ার বার্তাকে বলেন, পুঁইশাকে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন 'বি`, 'সি` ও 'এ` পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং আয়রণ আছে। নানা ধরনের ভিটামিন সমৃদ্ধ এই শাকটি একদিকে যেমন বহুবিধ রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে, অন্যদিকে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

 কুষ্টিয়ার  বার্তা
 কুষ্টিয়ার  বার্তা
এই বিভাগের আরো খবর