সোমবার   ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩   আশ্বিন ৯ ১৪৩০   ১০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

 কুষ্টিয়ার  বার্তা
১৪৪

পদ্মার ভাঙনরোধে দুই হাজার কোটি টাকার প্রকল্প

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৫ জুলাই ২০২৩  

পদ্মার ভাঙনরোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাশেদুর রহমান। সম্প্রতি এ তথ্য জানিয়েছেন কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঐ কর্মকর্তা।

জানা যায়, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা পদ্মা নদীতে প্রতি বছরই পানি বৃদ্ধি পেলেই শুরু হয় ভাঙন। নদী পাড়ের পরিবারগুলো হারায় বসতভিটা। হয়ে পড়ে গৃহহীন। ভাঙন থেকে রেহাই পেতে নদীতে স্থায়ী বাঁধের দাবি করেন নদীপাড়ের মানুষ।

চলতি বছর বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার পর থেকেই কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের মসলেমপুর, বার মাইল টিকটিকিপাড়া এলাকায় তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনের ফলে এখানকার প্রায় ৫ শতাধিক মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক। ভাঙনের ফলে এখানকার ইটভাটা, স্কুল, মসজিদ ও রাস্তাসহ নানা স্থাপনা হুমকির মধ্যে রয়েছে।

ভেড়ামারা-পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে প্রতিদিন ২৭ সেন্টিমিটার করে বাড়ছে পানি। পদ্মায় পানি বৃদ্ধির ফলে প্রতিনিয়তই বাড়ছে ভাঙনের তীব্রতা। পানি বেড়ে যাওয়ায় হার্ডিঞ্জ ব্রিজের পূর্ব ও পশ্চিমে উভয় পাড়ে হার্ডিঞ্জ ব্রিজের ২’শ গজ দূরে পদ্মার ভাঙন শুরু হয়েছে।

পদ্মা নদী এখন পানিতে থইথই করছে। পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষের স্বপ্নও বিলীন হচ্ছে। বিশেষ করে ভেড়ামারা ও মিরপুর উপজেলার প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পদ্মার তীব্র ভাঙনে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি। হুমকির মুখে পড়েছে বসতবাড়ি ও কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়ক। এ ছাড়া সবচেয়ে বেশি ভাঙনের শিকার উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের ১২ মাইল এলাকার মোসলেমপুর, টিকটিকিপাড়া ও মুন্সীপাড়া এলাকা।

পদ্মা নদীর ভাঙন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কুষ্টিয়ায় পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। নদীতে পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ভেড়ামারা উপজেলার বারোমাইল, টিকটিকিপাড়া, মোসলেমপুর, মুন্সিপাড়া এবং মিরপুর উপজেলার তালবাড়িয়া এলাকায় তীব্র নদী ভাঙনও শুরু হয়েছে। কয়েকশ একর ফসলি জমি বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে আছে টিকটিকিপাড়ার তিন গ্রামের প্রায় ৫ হাজার পরিবারের বসতবাড়ি। 

ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আকাশ কুমার কুন্ডু বলেন, দ্রুত ভাঙন রোধে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। এরই মধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙন ১২ মাইল এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলছে।

কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাশেদুর রহমান বলেন, পদ্মার ভাঙনরোধে প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু করা হলেও স্থায়ী বাঁধ নির্মাণে এরই মধ্যে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। আমরা দ্রুত এর কর্যক্রম শুরু করব।

 কুষ্টিয়ার  বার্তা
 কুষ্টিয়ার  বার্তা
এই বিভাগের আরো খবর