সোমবার   ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩   আশ্বিন ৯ ১৪৩০   ১০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

 কুষ্টিয়ার  বার্তা
১১৬

জনবল সংকটে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল, চিকিৎসা ব্যাহত

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

জনবল সংকটে জর্জরিত মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল। ৫০ শয্যা থেকে ২৫০ শয্যা এক যুগ আগে হলেও এখন পর্যন্ত পর্যাপ্ত জনবল পায়নি হাসপাতালটি। ফলে কম জনবল দিয়ে অনকেটা খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে হাসপাতালটি। 

নেই পর্যাপ্ত মেডিকেল অফিসার, সংকট আছে ইমারজেন্সি মেডিকেল অফিসারেরও, অফিস সহকারী অর্ধেকও নেই, অফিস সহায়ক আছে কোনো মতে, কুক/মশালচী, মালী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী সবই সংকট। 

যে জনবল আছে তাতে এদিক ওদিক করে চালাচ্ছে ২৫০ শয্যার সেবা প্রতিষ্ঠানটিকে। কখনো কখনো নির্ধারিত সময়ের চেয়েও দ্বিগুণ ডিউটি করতে হচ্ছে কর্মরতদের। ডাক্তাররাও পাচ্ছেন না কাঙ্খিত বিশ্রাম।

মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে দেয়া তথ্য অনুযায়ী মেডিকেল অফিসার থাকার কথা ১১ জন, সেই জায়গায় আছে মাত্র ৪ জন, ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার ৭ জনের জায়গায় আছে মাত্র ২ জন। অফিস সহকারী ২টি পদ থাকলে একজনও নেই, অফিস সহায়ক (এমএলএসএস) ২৬ জনের স্থলে আছে মাত্র ৪ জন, কুক/মশালচী ৬ জনের জায়গায় আছে একজন, তাকে দিয়ে। চলছে ৫০০র অধিক ভর্তি থাকা রোগীর রান্নাবান্না। পরিচ্ছন্ন কর্মী ৪ জনের স্থলে আছে ৩ জন, তার মধ্যে একজন আবার ভারতে চিকিৎসাধীন।

সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, প্রতিদিন প্রায় ইনডোর আউটডোর মিলে হাজার খানেক রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে মেহেরপুর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে। মেডিকেল অফিসার ও ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার সংকট থাকায় ভোগান্তি হচ্ছে রোগীদের। ঘুরে ফিরে দুইজন ডাক্তার সামলাচ্ছেন ইমার্জেন্সি বিভাগ। ফলে ডাক্তারদেরও উঠে যাচ্ছে নাভিশ্বাস। প্রায় সাড়ে চারশ ভর্তি রোগীর জন্য খাবার তৈরি করছে মাত্র একজন। কখনো অসুস্থ হলে ধার করে আনতে হয় কুক। পরিচ্ছন্ন কর্মীর অভাবে নষ্ট হচ্ছে হাসপাতালের পরিবেশ। 

অফিস সহকারী ও অফিস সহায়কের অভাবে নির্ধারিত সময়ে হচ্ছে না অফিসের গুরুত্বপূর্ণ কাজ। জেনারেল হাসপাতালে কর্মরত মেডিকেল অফিসাররা জানান, কষ্ট হলেও সেবা দিতে হচ্ছে। কখনো কখনো ছুটি বাতিল করে ছুটে আসতে হয় হাসপাতালে। ঐচ্ছিক ছুটিতো দূরের কথা পাচ্ছি না পর্যাপ্ত বিশ্রামও। ঘুরে ফিরে দুজন মেডিকেল অফিসারকে ডিউটি করতে হচ্ছে ইমার্জেন্সি বিভাগে। এমন অবস্থায় এত বড় হাসপাতাল সঠিক ও সুন্দর করে চালাতে হলে সব পদে পরিপূর্ণ জনবল নিয়োগ করা অতি জরুরি। 

এ বিষয়ে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. জমির মোহাম্মদ হাসিবুস সাত্তার জানান, জনবল সংকটে হাসপাতাল চালানো কঠিন হয়ে পড়ছে। বিশেষ করে অফিসিয়াল কাজ করার জন্য একজনও নেই। অনেক সময় ইচ্ছা থাকলেও জনবল সংকটে নির্ধারিত সময়ে অফিসিয়াল কাজ করতে পারছি না। মেডিকেল অফিসার সংকট থাকায় রোগীদের সেবার বিষয়টিও বিঘœ হচ্ছে। তারপরও যেকজন আছে তাদের দিয়ে কোনো মতে সামলাতে হচ্ছে। জনবল সংকট নিরসন হলে আরো সুন্দরভাবে এগিয়ে যাবে হাসপাতালটি।

 কুষ্টিয়ার  বার্তা
 কুষ্টিয়ার  বার্তা
এই বিভাগের আরো খবর