সোমবার   ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩   আশ্বিন ৯ ১৪৩০   ১০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

 কুষ্টিয়ার  বার্তা
১০৫

চুয়াডাঙ্গা পুলিশের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর নামের ফটো গ্যালারি

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনসের একটি পরিত্যক্ত ঘরে পুলিশ সুপার (এসপি) আব্দুল্লাহ আল-মামুন গড়ে তুলেছেন ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ নামের ব্যতিক্রমী ফটো গ্যালারিসহ লাইব্রেরি। যা বাংলাদেশে পুলিশের উদ্যোগে এই প্রথম।

গ্যালারিতে স্থান পেয়েছে বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও উন্নয়নের ছবি। বাংলাদেশের উন্নয়নকে তুলে ধরার পাশাপাশি বুক কর্নার এবং মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের অবদান, চুয়াডাঙ্গার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সাদা কালো ও রঙিন সব দুর্লভ ছবিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

পুলিশ লাইনসের পরিত্যক্ত ঘরে গ্যালারিটি করা হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল-মামুন ২০২৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি এর কাজ শুরু করেন, যা একই বছরের ২৩ জুন শেষ হয়েছে।

পরিত্যক্ত ঘরটির দেওয়ালের রং, র‌্যাক, ওয়ালর‌্যাক, লাইটিংসহ নতুন ডিজাইনে সাজানো হয়েছে। সাজানো-গোছানো পরিপাটি এ ঘরে রয়েছে আটটি কংক্রিটের দেওয়াল, একটি বুক কর্নার, তিনটি স্ট্রিং ওয়াল, তিনটি বোর্ডের ওয়াল ও দুটি স্মৃতি স্মারক কর্নার।

প্রথম দেওয়ালে রয়েছে বঙ্গবন্ধু ও বহির্বিশ্ব, দ্বিতীয় দেওয়ালে ৭ মার্চের ভাষণ ও স্বীকৃতি, তৃতীয় দেওয়ালে ১৯৪৭-১৯৭০ সালের স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধুর সংক্ষিপ্ত জীবনী, শিক্ষা জীবন এবং ঘটনা প্রবাহ; চতুর্থ দেওয়ালে রক্তাক্ত ৭১, পঞ্চম দেওয়ালে ১৯৭২-১৯৭৫ সালের ঘটনাপ্রবাহ, ষষ্ঠ দেওয়ালে মুক্তিযুদ্ধ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বাংলাদেশ পুলিশের অবদান, সপ্তম দেওয়ালে চুয়াডাঙ্গার মহান মুক্তি সংগ্রাম এবং অষ্টম দেওয়ালে রয়েছে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে আলোকবর্তিকায় প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা।

এ বিষয়ে পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, চুয়াডাঙ্গায় পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করার পর পুলিশ লাইনসের এ পরিত্যক্ত কক্ষটি নিয়ে ভাবতে থাকি। পরে মাথায় আসে, আমিতো একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। একইসঙ্গে এ প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মচারী হিসেবে আমার মাথায় ঢোকে চুয়াডাঙ্গার যারা শিক্ষার্থী রয়েছেন, চুয়াডাঙ্গাবাসী রয়েছেন, তাদের জন্য কিছু একটা করে রেখে যাই। তারপর থেকেই অবসর সময়ে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ নামের এ গ্যালারির কাজ শুরু করি। মূলত দেশ ও জাতির ইতিহাস তুলে ধরতেই আমার এ প্রয়াস।

গ্যালারি পরিদর্শনে আসা বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সহসভাপতি এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটির সদস্য দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, উন্নয়ন ও সোনার বাংলার কথা বলছে দুর্লভ ছবিগুলো। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশ যে এক সুতোই বাঁধা, গ্যালারিতে ঢুকলেই তা বোঝা যায়।

স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মাফিজুর রহমান মাফি বলেন, স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতার গল্প তুলে ধরা হয়েছে এখানে। ছোট্ট খোকা থেকে বঙ্গবন্ধু হয়ে ওঠার গল্প আমরা নিমিষেই দেখতে পাচ্ছি।

শিশু অধিকারকর্মী মেহেরাব্বীন সানভী বলেন, জেলা পুলিশের এমন আয়োজন সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। আমি যেহেতু শিশুদের নিয়ে কাজ করি, শিশুরাও এখানে এলে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস সহজেই জানতে পারবে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হোসেন বলেন, চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার একটি পরিত্যক্ত ঘরকে যেভাবে সাজিয়েছেন; জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবার এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এখানে সন্নিবেশিত করেছেন, সত্যিই এটা প্রশংসার দাবিদার।

বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম মালিক বলেন, সেই ১৯৪৭ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত ঘটে যাওয়া নানা ঘটনার দুর্লভ সব ছবিতে এখানে প্রকাশ পেয়েছে। বঙ্গবন্ধুর পুরো জীবনটা এখানে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

 কুষ্টিয়ার  বার্তা
 কুষ্টিয়ার  বার্তা
এই বিভাগের আরো খবর