ঐতিহাসিক গণ অভ্যুত্থান দিবস আজ
প্রকাশিত: ২৪ জানুয়ারি ২০২৩

বাঙালি জাতির স্বাধিকার আন্দোলনের অন্যতম প্রধান মাইলফলক ঊনসত্তরের ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থান দিবস আজ। মুক্তিকামী নিপীড়িত জনগণের পক্ষে জাতির মুক্তি সনদ খ্যাত ৬ দফা এবং পরবর্তীতে ছাত্র সমাজের দেওয়া ১১ দফা কর্মসূচির প্রেক্ষাপটে সংঘটিত হয়েছিল এ গণঅভ্যুত্থান।
দিবসটি পালন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
দেশের স্বাধিকার আন্দোলনে যারা শহিদ হয়েছেন, তাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধিকার ও গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় ১৯৬৯ সালের ২৪শে জানুয়ারি একটি ঐতিহাসিক দিন। এ দিনটি গণঅভ্যুত্থান দিবস হিসেবে আমাদের মুক্তিসংগ্রাম ও স্বাধিকার আন্দোলনের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছে।’
প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, ‘ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের ইতিহাসে এক তাৎপর্যপূর্ণ অধ্যায়। বাহান্নর ভাষা আন্দোলন, বাঙালির মুক্তি সনদ ৬ দফা, পরবর্তীকালে ১১ দফা ও ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতায় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা অর্জন করেছি মহানস্বাধীনতা। পেয়েছি স্বাধীন-সার্বভৌমরাষ্ট্র বাংলাদেশ।’
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে বাঙালির দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত বাঙালির মুক্তির সনদ ৬-দফা ভিত্তিক গণ-আন্দোলনের আদর্শকে ধারণ করে অগ্রসরমান সংগ্রামের পথপরিক্রমায় ১৯৬৯ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়নসহ প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন করেন এবং ১১-দফা দাবি ঘোষণা করেন।
এই ১১-দফা দাবির মূল ভিত্তি ছিল বঙ্গবন্ধু ঘোষিত ৬-দফা। ৬-দফা ভিত্তিক ১১-দফা দাবিতে ছাত্রসমাজের সমস্যাকেন্দ্রিক দাবি-দাওয়ার পাশাপাশি কৃষক ও শ্রমিকদের স্বার্থ সংক্রান্ত দাবিসমূহ অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এই আন্দোলনের অন্যতম প্রধান দাবি ছিল আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ রাজবন্দিদের মুক্তি। ৬-দফা এবং পরবর্তীতে ১১-দফা কর্মসূচির প্রেক্ষাপটে সংঘটিত হয় ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান। ’৬৯-এর ১৭ই জানুয়ারি ছাত্রনেতারা দেশব্যাপী সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মঘটের ডাক দিলে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর মোনেম খান ছাত্র আন্দোলন দমনের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করে।
সরকারি নিপীড়নের প্রতিবাদে ২০ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় ছাত্রসভা ও প্রতিবাদ মিছিলের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। এ মিছিলে পুলিশের গুলিতে ছাত্রনেতা আমানুল্লাহ মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান (আসাদ) নিহত হলে আন্দোলন আরো তীব্র হয়। শহীদ আসাদের আত্মদানের পর ২১, ২২ ও ২৩ জানুয়ারি শোক পালনের মধ্য দিয়ে সর্বস্তরের জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে ২৪ জানুয়ারি অভূতপূর্ব গণঅভ্যুত্থানের সৃষ্টি হয়।
পাকিস্তানি সামরিক শাসন উৎখাতের লক্ষ্যে ১৯৬৯ সালের ২৪ জানুয়ারি সংগ্রামী জনতা শাসকগোষ্ঠীর দমন-পীড়ন ও সান্ধ্য আইন ভঙ্গ করে মিছিল বের করে। মিছিলে পুলিশের গুলিবর্ষণে এদিন ঢাকায় সচিবালয়ের সামনের রাজপথে নবকুমার ইনস্টিটিউটের নবম শ্রেণির ছাত্র কিশোর মতিউর রহমান ও রুস্তম শহীদ হন। প্রতিবাদে সংগ্রামী জনতা সেদিন সচিবালয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। বিক্ষুব্ধ জনগণ আইয়ুব-মোনেম চক্রের দালাল, মন্ত্রী, এমপিদের বাড়িতে এবং তাদের মুখপত্র হিসাবে পরিচিত তৎকালীন দৈনিক পাকিস্তান ও পাকিস্তান অবজারভার অফিসে আগুন লাগিয়ে দেয়। ঢাকার পরিস্থিতি সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
এরপর ১৫ ফেব্রুয়ারি আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্ত সার্জেন্ট জহুরুল হক বন্দি অবস্থায় ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে নিহত হলে প্রতিবাদমুখর হয়ে বাংলার জনগণ। ১৮ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. শামসুজ্জোহা নিহত হলে সান্ধ্য আইন উপেক্ষা করে রাজপথে নেমে আসে ছাত্র-জনতা। গণঅভ্যুত্থানের প্রবল চাপে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবসহ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অভিযুক্তগণ এবং নিরাপত্তা আইনে আটক ৩৪ জন নেতৃবৃন্দকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় স্বৈরশাসক আইয়ুব খান। ২৩ ফেব্রুয়ারি লাখো জনতার উপস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত করা হয়। ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সামরিক স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের পতন ঘটে। সেই থেকে ২৪ শে জানুয়ারি গণঅভ্যুত্থান দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
দিবসটি উপলক্ষে আজ সকাল সাড়ে ১০ টায় বকশীবাজারস্থ নবকুমার ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে শহীদ মতিউর রহমানের স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করবে আওয়ামী লীগ।
দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের যথাযথভাবে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে সংশ্লিষ্ট সকলকে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন।

- মুজিবনগর বিশ্ববিদ্যালয় বিল সংসদে পাস
- স্তন প্রতিস্থাপন না করে ভিন্ন পন্থায় বড় করেছিলেন নায়িকা
- সুখসাগর পেঁয়াজ বীজ চাষে লাভবান হচ্ছেন মেহেরপুরের কৃষকরা
- ৪৮ বছর ধরে দেশে বিখ্যাত চুয়াডাঙ্গার ব্লাকবেঙ্গল গোট
- ইবির প্রক্টরসহ ৫ পদে নতুন মুখ
- বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় আরেকটি মাইলফলক স্থাপিত হলো
- ১৯৪ কোটি টাকার সয়াবিন তেল কিনবে সরকার
- অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে নির্মিত হবে দেশের প্রথম পাতালরেল
- ভাষা শহীদদের সম্মানে বাংলায় রায় হাইকোর্টের
- জাপান-বাংলাদেশের মধ্যে খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক
- গাংনী সীমান্তে মাদকসহ ৩ যুবক আটক
- অবৈধভাবে সয়াবিন বিক্রির দায়ে লাখ টাকা জরিমানা
- রপ্তানি বিল নগায়দায়নে ১০৩ টাকা দেবে ব্যাংক
- মেসির জার্সি নিলামে, দাম আকাশচুম্বী
- সম্পর্কে আরও কাছাকাছি ঢাকা ও ওয়াশিংটন
- বেসরকারি হজ প্যাকেজ ঘোষণা, সর্বনিম্ন খরচ ৬,৭২,৬১৮ টাকা
- সেতুমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেছেন জাপানের রাষ্ট্রদূত
- ঢাকা আসছেন মেক্সিকোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- পেশাদারির সঙ্গে দায়িত্ব পালন করুন
- বিশ্বে করোনায় ১২০১ মৃত্যু, আক্রান্ত ১ লাখ ৯৫ হাজার
- ৪৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মুদ্রাস্ফীতি দেখল পাকিস্তান
- ব্লিঙ্কেনের সফরের পর গাজায় ফের ইসরাইলি বিমান হামলা
- আমারও সংসদে যাওয়ার ইচ্ছা আছে: মাহি
- ত্বকের যত্নে রাখুন আট রকম তেল
- যে তেলে রান্না করলে হৃদযন্ত্র ভালো থাকবে
- মুগ পাকন পিঠা
- একতরফা প্রেম, ব্যর্থতার যন্ত্রণা ভুলতে যা করবেন
- নতুন শিক্ষাব্যবস্থার যুগে বাংলাদেশ
- অনির্বাচিত সরকারের সময় ক্ষতি হয় দেশের মানুষের
- ইউরোপিয়ান ক্লাবগুলোর শীতকালীন দলবদল যেমন ছিল
- ৪ হাজার বছর পর সোনায় মোড়ানো মমির সন্ধান
- মেহেরপুরের পাতাকপি যাচ্ছে বিশ্ববাজারে
- কুষ্টিয়ার মিষ্টি পান রপ্তানি হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে
- ১১০তম প্রাইজ বন্ডের ড্র, প্রথম পুরস্কার বিজয়ী ০০৮৮৭০৮
- মেহেরপুরে গাছে গাছে আমের মুকুলের সমারোহ
- গাংনীতে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ
- ২৭ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৮ হাজার কোটি টাকা
- চাকরি ছেড়ে ড্রাগন চাষে স্বপ্ন দেখছেন কুষ্টিয়ার আশিকুল
- পর্যটনের মহাপরিকল্পনা : ৫০ পর্যটন স্পটে আসছে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ
- পৃথিবী পঞ্চম শিল্পবিপ্লবে প্রবেশ করেছে : মোস্তাফা জব্বার
- নারকেলের দুধ দিয়ে কাতল মাছ রান্নার রেসিপি
- নারকেল বাটা দিয়ে হাঁসের মাংস ভুনা
- শীতে কোষ্ঠকাঠিন্য বাড়ে কেন, কী করবেন?
- মানুষ মারা গেলে টাকা পান মেহজাবিন!
- মেহেরপুরে সরকারি উদ্যোগে নির্মিত হচ্ছে বিনোদন কেন্দ্র
- পাতালরেলের যুগে বাংলাদেশ
- ক্ষমতার অপপ্রয়োগ যেন না হয়: ডিসিদের রাষ্ট্রপতি
- ৬৫ বছরের পরও পাওয়া যাবে ১০ বছরমেয়াদি পাসপোর্ট
- রাহুলের বিয়েতে কোহলির উপহার বিএমডব্লু, ধোনির কোটি টাকার বাইক
- হাত-পা ফর্সা করার ঘরোয়া উপায় জেনে নিন

- ‘২০৩০ সালে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের ২৪তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ’
- একনজরে নবনিযুক্ত আইজিপি বেনজীর আহমেদের জীবনী
- পদ্মা সেতু দিয়ে দক্ষিণের পথে বাড়ছে বিআরটিসির বাস
- নগদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে সক্রিয় কুচক্রী মহল
- ১৮.৫০ পয়সা ক্যাশ আউট চার্জ! তবুও লসে বিকাশ?
- এজেন্টদের বিপদে ফেলছে বিকাশ
- দেশে তৈরি হলো আড়াই কোটিরও বেশি মোবাইল ফোন
- সাংবাদিকতাকে পুঁজি করে রোজিনার যত কালো অধ্যায়!
- ১০ ও ২০ টাকার নতুন নোট বাজারে আসছে
- লাখপতি হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে ‘নগদ’
- কে এই সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম
- ১৬৮ বছরের ইতিহাসে দেশে সর্বোচ্চ চা উৎপাদন
- দাম নির্ধারণে ডলারের তেজ কিছুটা কমেছে
- বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়
- আগামী ৩ দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা