দেশের জলাশয়গুলোতে ছড়িয়ে পড়া সাকার মাছ-এর ক্ষতিকর দিক
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০ জানুয়ারি ২০২২
বিগত প্রায় চার দশক জুড়ে অ্যাকোয়ারিয়ামের শোভা বর্ধক হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা সাকার মাছ এখন দেখা যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জলাশয়গুলোতে। ঢাকার বুড়িগঙ্গা থেকে ধরে এনে অনেকেই এখন শহরের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করছেন সাকার মাছ। খাবারের জন্য চওড়া দাম দিয়ে কিনে নিচ্ছেন অনেকেই। তবে বৈশিষ্ট্যগত দিক থেকে দেশের মাছ চাষে মাছটি নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। বদ্ধ এবং উন্মুক্ত উভয় জলাশয়েই এর ক্ষতিকর দিকগুলোর জন্য সরকারের পক্ষ থেকেও যথাযথ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কিন্তু কেন এরকম বিরূপ প্রতিক্রিয়া? চলুন জেনে নিই সাকার মাছের বৈশিষ্ট্য ও এর ক্ষতিকর দিকগুলো।
সাকার মাছ-এর বৈশিষ্ট্য: মাছটির পুরো নাম সাকার মাউথ ক্যাটফিশ (Suckermouth Catfish)। অ্যাকোয়ারিয়াম পালনকারীদের কাছে প্লেকোস্টোমাস বা কমন প্লেকো নামেই বেশি পরিচিত। বর্মযুক্ত ক্যাটফিশ গোত্রের অন্তর্গত এই মাছটি গ্রীষ্মমন্ডলীয় মিঠা পানির মাছ। এর মাথা এবং শরীরের উপরের অংশকে আবৃত করে রাখে বর্ম-সদৃশ কাটার অনুদৈর্ঘ্য সারি আর মাথা এবং পেটের নীচের পৃষ্ঠটি নগ্ন নরম ত্বক। মুখটি যেন যে কোন কিছু চুষে নেয়ার জন্য উদ্যত, আর এর জন্যই এর বৈজ্ঞানিক নামকরণ করা হয়েছে হাইপোস্টোমাস প্লেকোস্টোমাস। মুখের এই আকৃতিটি মাছটিকে জলাশয়ের পৃষ্ঠের সাথে লেগে থেকে স্রোতের প্রতিকূলেও খাবার শুষে নিতে সাহায্য করে।
এই সর্বভুক প্রজাতির মাছটি শেওলা, জলজ উদ্ভিদ এবং ছোট ছোট পোনা মাছ খেয়ে থাকে। আশেপাশের যেকোন নড়াচড়ার প্রতি এরা বেশ সংবেদনশীল। এই বৈশিষ্ট্যটি তাদের যেকোনো ধরনের শিকারীকে নিমেষেই এড়িয়ে যেতে সাহায্য করে। অপরদিকে কোন কারণে এদের ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হলে এরা শরীর থেকে ফেরোমোন নিঃসরণ করে এবং কোনো বিপদ দেখা দিলে লড়াই করার জন্য পূর্ব সংকেত দেয়।
প্রায় ৩৯ ইঞ্চির উত্তর আমেরিকান এই মাছগুলোর ওজন হয় প্রায় দেড় কেজি। তবে বাংলাদেশিগুলো ১৬ থেকে ১৮ ইঞ্চি লম্বা ও ওজনে ৫০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে।
সাকার মাছ-এর ক্ষতিকর দিকগুলো:
-অন্যান্য মাছ খেয়ে ফেলে
-এই সর্বভূক মাছটি জলাশয়ের পোকামাকড় ও শ্যাওলার পাশাপাশি অন্য ছোট ছোট মাছ বা মাছের পোনাও খেয়ে ফেলে। ফলে চাষিদের মাছ চাষে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়।
বিপজ্জনক মাছ: সাকার মাছের ধারালো পাখনার কারণে অন্য মাছের সঙ্গে লড়াই করার সময় নিমেষেই সেগুলো শিকারের শরীরে ক্ষত তৈরি হয়। এই ক্ষতগুলো পরবর্তীতে সংক্রমণে রূপ নেয়, যা ঠেলে দেয় নির্ঘাত মৃত্যুর দিকে। এতে কমে যায় মাছের সংখ্যা। এমনকি দেশীয় প্রজাতির মাছের ডিম ও রেণু খেয়ে ফেলে মাছের বংশ বিস্তারে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।
তবে সাকার কিন্তু শিকারী মাছ নয়। সে শুধু চুষে বা টেনে একসঙ্গে প্রচুর খাবার খায়।
দেশীয় মাছগুলো প্রতিযোগিতায় পেরে ওঠে না এর বংশবৃদ্ধি অন্যান্য মাছ থেকে দ্রুত হওয়ায় উন্মুক্ত জলাশয়ের স্বল্পায়ু, তৃণভোজী, ও খরাকাতর প্রজাতির মাছগুলো মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে সাকার মাছের সাথে খাদ্য ও আবাস নিয়ে তীব্র প্রতিযোগিতায় পেরে ওঠে না। তাতে প্রায়ই দেশীয় জাতের মাছের বংশগতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বিস্ময়কর টিকে থাকার ক্ষমতা: এটি পানি ছাড়াই বাঁচতে পারে প্রায় ২৪ ঘণ্টা। একটি সাকার মাছের জীবনকাল দশ থেকে বিশ বছর, যা অন্যান্য সাধারণ মাছ থেকে দিগুণের চেয়েও বেশি। প্রায় ২২ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার মধ্যে বসবাসরত এই মাছটি যেকোন পরিবেশে সহজেই খাপ খাইয়ে নিতে পারে। ফলে অন্য মাছের থেকে এরা বেশি সময় ধরে টিকে থাকতে সক্ষম হয়।
জলাশয়ের পাড় নষ্ট করে: এ মাছটির অসংখ্য পোনা জলাশয়ে ছড়িয়ে পড়লে এগুলো জলাশয়ের পাড়ে দেড় মিটার পর্যন্ত গর্ত তৈরি করে ফেলতে পারে। ফলে পাড় ধ্বংস হয়ে যায়।
জলাশয়ের বাস্তুসংস্থান বিনষ্ট করে: অত্যাধিক পরিমাণে সাকার মাছের পোনাগুলো দ্রুত পরিণত হয়ে উঠে জলাশয়ের তলার শ্যাওলা ও জৈব আবর্জনা খেয়ে ফেলে। এতে করে জলজ পরিবেশে খাদ্যের ভারসাম্য নষ্ট হয়।
সাকার মাছ নিয়ন্ত্রণে করণীয়:
-সরকারি উদ্যোগ
-বাংলাদেশ সরকার সাকার মাছ নিয়ন্ত্রণে ইতোমধ্যে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সেগুলো হলো-
সাকার মাছ বিনষ্টকরণ: উন্মুক্ত ও চাষের বদ্ধ জলাশয়গুলোতে এ মাছ প্রবেশ করছে কিনা তা যথাযথ পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে এবং পাওয়া মাত্রই তা বিনষ্ট করে ফেলতে হবে। যেকোন চাষের জলাশয় শুকিয়ে বা সেচের মাধ্যমে এই বিনষ্টকরণে চাষিদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
নতুন আইন প্রণয়ন: মৎস্য রক্ষা ও সংরক্ষণ বিধিমালা ১৯৮৫ আইনে সাকার মাছ নিয়ে নতুন আর্টিকেল সংযোজন করতে হবে। সম্ভাব্য সকল বন্দরে সাকার মাছ আমদানি নিষেধাজ্ঞা জারি করতে হবে।
সর্বস্তরে সচেতনতা বৃদ্ধি: যেহেতু সারা দেশেই ছড়িয়ে গেছে, তাই এই মাছ নিয়ন্ত্রণের সবচেয়ে উপযোগী উপায় হলো সর্বস্তরে সাকার মাছের ক্ষতিকর দিকগুলোর ব্যাপারে সচেতন করা। যারা অ্যাকোয়ারিয়াম পালন করছেন তারাও যেন ভুলবশত কোন সাকার মাছ পুকুর বা লেকে ফেলে না দেন। নদী-নালা, পুকুরগুলোতে পাওয়া গেলে সেখানেই এই মাছ বিনষ্ট করে ফেলার জন্য স্থানীয়দের উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
বিভিন্ন স্থানের ভুক্তভোগী জেলেরা ইতোমধ্যে তাদের জালে সাকার মাছ ধরা পড়লে তা মাটিতে পুঁতে ফেলে বিনষ্ট করছেন। কেননা তাদের জালে অন্যান্য মাছের সাথে বেশি পরিমাণে সাকার মাছ উঠছে।
- কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন ভুটানের রাজার
- ঈদের আগেই জিম্মি নাবিক উদ্ধারে আলোচনায় অগ্রগতি
- বিদেশিদের ভিসার মেয়াদ কমছে
- ছালেহা খাতুনের জিরা চাষ, সাড়া ফেলেছে মেহেরপুরে
- চুয়াডাঙ্গায় নাশকতা মামলায় ৪৭ নেতাকর্মী কারাগারে
- আশ্বাস দিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী, কাজে ফিরলেন চিকিৎসকরা
- আরও ১৩৩৩টি শহর ও ইউনিয়নে ভূমি অফিস হবে
- সম্প্রীতির চেতনা তৃণমূলে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
- ট্রেনে ঈদ যাত্রার ৮ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি শুরু
- প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা আজ, লড়বেন সাড়ে ৩ লাখ
- শাহজালালের থার্ড টার্মিনাল পুরোপুরি চালুর অপেক্ষা
- ঈদে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় চলবে ১৫ ফেরি ও ২০ লঞ্চ
- একনেকে ৮ হাজার কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন
- কূপ খননে যুক্ত হচ্ছে তিন বিদেশী কোম্পানি
- পাল্টে যাচ্ছে রাজধানীর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চেহারা
- ঢাকায় দুদিনের সফরে আসছেন কাতারের আমির
- শিল্পে দ্রুত ইভিসি মিটার দেবে তিতাস
- শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেয়ার নির্দেশ
- অর্থনীতিতে গতি ফেরাতে যত পরিকল্প
- বাজার নিয়ন্ত্রণে আরও ক্ষমতা পাচ্ছে সরকার
- যেভাবে জানা যাবে ঢাবি ভর্তি পরীক্ষার ফল
- কুড়িগ্রামে নতুন বাণিজ্য সম্ভাবনা
- হাজারবর্ষী উইন্সডর ক্যাসেলে ইতিহাসের প্রথম ইফতার
- বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস ১৯৭৫ সালের পর বিকৃত করা হয়েছে
- কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চল দেখতে যাচ্ছেন ভুটানের রাজা ওয়াংচুক
- গাজায় নিহত আরও ৭৬, প্রাণহানি বেড়ে প্রায় ৩২৫০০
- ঈদে ট্রেন যাত্রার পঞ্চম দিনের টিকিট বিক্রি শুরু
- মুক্ত গণতন্ত্র বাস্তবায়নে চেষ্টা অব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র
- শহরের চেয়ে গ্রামে বিয়ে-তালাক বেশি
- বদর যুদ্ধ গায়েবি সাহায্যের অনুপম দৃশ্য
- বিআরটি প্রকল্পের সাত ফ্লাইওভার খুলল
- বুধবার থেকে রাত ৯টার পরও চলবে মেট্রোরেল, বাড়বে সংখ্যাও
- ইফতারের পর যেসব অভ্যাসে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ে
- জিরা চাষে তাক লাগিয়েছেন মেহেরপুরের ছালেহা
- নৃশংসতম গণহত্যার সেই ভয়াল কালরাত
- ডলারের তেজ কমে আসছে, বাড়ছে টাকার মান
- ২৫ মার্চ রাতে ১ মিনিট ‘ব্ল্যাক আউট’ থাকবে দেশ
- ইচ্ছাকৃত রোজা না রাখার শাস্তি
- কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ায় চলছে লালন স্মরণোৎসব
- সজনের ভারে ন্যুয়ে পড়েছে গাছ
- বিশ্বের সর্বোৎকৃষ্ট স্বাদের চা হচ্ছে বাংলাদেশে
- জনগণের সঠিক প্রতিনিধিত্ব ছাড়া উন্নয়ন হয় না: প্রধানমন্ত্রী
- সপ্তাহ ব্যবধানে সবজি ও পেঁয়াজের দাম কমেছে
- টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকার বদ্ধপরিকর : প্রধানমন্ত্রী
- ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্টের চেষ্টা বিএনপির পাগলামি : কাদের
- কুষ্টিয়ায় স্বাধীনতা দিবস উদযাপন
- উত্তরাঞ্চলে খুলছে সম্ভাবনার দুয়ার
- সোমবার রাত ১১টায় সারা দেশে ‘ব্ল্যাক আউট’
- যে সাহাবির মৃত্যুতে আল্লাহর আরশ কেঁপে উঠেছিল
- শাহজালালের থার্ড টার্মিনাল পুরোপুরি চালুর অপেক্ষা
- গণভবন আঙিনায় প্রধানমন্ত্রীর ফসলি উঠোন
- বাংলা ভাষাকে অনন্য সম্মান এনে দিয়েছেন শেখ হাসিনা: জয়
- ৫ দিনে পদ্মা সেতুতে সাড়ে ১৫ কোটি টাকা টোল আদায়
- একনজরে নবনিযুক্ত আইজিপি বেনজীর আহমেদের জীবনী
- ‘২০৩০ সালে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের ২৪তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ’
- শাহজালাল বিমানবন্দরে ভিভিআইপি লাউঞ্জ উদ্বোধন
- পদ্মা সেতু দিয়ে দক্ষিণের পথে বাড়ছে বিআরটিসির বাস
- নগদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে সক্রিয় কুচক্রী মহল
- এজেন্টদের বিপদে ফেলছে বিকাশ
- ১৮.৫০ পয়সা ক্যাশ আউট চার্জ! তবুও লসে বিকাশ?
- আগুনে পুড়ল রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৭০ বাড়ি
- বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়
- দেশে তৈরি হলো আড়াই কোটিরও বেশি মোবাইল ফোন
- সাংবাদিকতাকে পুঁজি করে রোজিনার যত কালো অধ্যায়!
- ১০ ও ২০ টাকার নতুন নোট বাজারে আসছে