শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১   ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

 কুষ্টিয়ার  বার্তা
২৭৩

মিরপুরে উৎপাদিত সৌর বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত 

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৫ নভেম্বর ২০১৯  

বাংলাদেশে সর্বপ্রথম কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ছাতিয়ান ইউনিয়নের কালিনাথপুর গ্রামে অবস্থিত সৌর সেচ পাম্পটি এখন একটি ছোটখাটো বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। যার উৎপাদন ক্ষমতা ২৫ কিলোওয়াট। এতদিন সোলার প্যানেল থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ শুধুমাত্র সেচের কাজে ব্যবহৃত হতো।

এখন সেচ বন্ধ থাকলেই উৎপাদিত সৌর বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত হচ্ছে। এতে করে সৌর সেচ পাম্পগুলির অতিরিক্ত উৎপাদিত বিদ্যুতের মূল্যে সেচ খরচে যোগ হওয়ায় কৃষির উৎপাদন ব্যয় কমছে, ফলে লাভবান হচ্ছেন কৃষক। 

১৪ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) কুষ্টিয়ার ছাতিয়ান ইউনিয়নের কালিনাথপুর গ্রামে আনুষ্ঠানিকভাবে বেলা ১২টায় সৌর পাম্প থেকে উৎপাদিত অতিরিক্ত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সংযোজন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত সচিব টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (স্রেডা) এর চেয়ারম্যান মো. হেলাল উদ্দিন।

এ সময় প্রতিষ্ঠাতা ব্রাইট গ্রিন এনার্জি ফাউন্ডেশন (বিজিইএফ) প্রেসিডেন্ট, বিএসআরইএ’র দিপাল বড়ুয়া, সমন্বয়কারী সোলার-ই- টেকনোলজি বাংলাদেশ আহমেদুল কবির উপল, মিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিংকন বিশ্বাস, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কাশেম জোয়ার্দারসহ স্থানীয় দুই শতাধিক কৃষক কৃষাণী উপস্থিত ছিলেন। 

বাংলাদেশ সরকারের টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (স্রেডা) এর তত্ত্বাবধানে এবং ইউএনডিপির অর্থায়নে ও সোলার ই টেকনোলজি এর কারিগরি সহায়তায় শুরু হলো এই যাত্রা।

বর্তমানে ইডকল এর মাধ্যমে স্থাপিত প্রায় দুই হাজার একশত সৌর পাম্প সারাদেশে সেচের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে পানির প্রয়োজন না থাকায় এই পাম্পগুলি অব্যবহৃত থাকলেও সৌরশক্তির উৎপাদন অব্যাহত থাকে। সৌর শক্তির ব্যবহার বাড়ানোর লক্ষ্যে স্রেডা এর নির্দেশনায় এই পাইলট প্রকল্পটি হাতে  নেয় সরকার। যাতে করে সৌর বিদ্যুতের পরিপূর্ণ ব্যবহার করা যায়। 

সমন্বয়কারী সোলার-ই- টেকনোলজি বাংলাদেশ এর আহমেদুল কবির উপল বলেন- দূরবর্তী স্থান থেকে তথ্য সংগ্রহের জন্য এই প্রকল্পে স্থাপন করা হয়েছে। ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক সংযুক্ত ডাটা লগার যার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক তথ্য সংরক্ষণ এবং সংগ্রহ করা সম্ভব।

স্থানীয় কৃষক জানান, তেলে ইঞ্জিন চালিত পাম্পে বিঘা প্রতি সেচে খরচ হতো ২ হাজার টাকা কিন্তু সোলার পাম্পের সেচ বাবদ খরচ হচ্ছে ১২শত টাকা। এতে করে উৎপাদন খরচ অনেকটাই কমে গেছে। এখন যদি সোলারের অতিরিক্ত বিদ্যুৎ গ্রিডে যোগ হয় বিনিময়ে সেখানকার অর্থটা এই প্রকল্পে যোগ হলে কৃষকের পানির খরচ কমে আসবে। কৃষক তার উৎপাদিত পণ্যের বেশী লাভ করতে পারবে। অতিরিক্ত সচিব টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (স্রেডা) এর চেয়ারম্যান মো. হেলাল উদ্দিন বলেন- পাইলট প্রকল্পটি ১৯লক্ষ টাকা ব্যয়ে বর্তমানে সৌর সেচ প্রকল্পগুলি সর্বাধিক তিনটি ফসলের চাষ করতে পারছে। ৫০% এর বেশি সৌর শক্তি অব্যবহৃত থেকে যায়।

কৃষকের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে অব্যবহৃত সৌর শক্তির বিকল্প ব্যবহার খুঁজে বের করার একটি দুর্দান্ত প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এই পদ্ধতির ফলে  কেবল সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহারকেই বাড়ানো হচ্ছে না এটি কৃষক এবং জামানতকারী উভয়ের উপর আর্থিক চাপ হ্রাস করবে, কারণ এটি অতিরিক্ত রাজস্ব অর্জন করতে পারবে।

 কুষ্টিয়ার  বার্তা
 কুষ্টিয়ার  বার্তা
এই বিভাগের আরো খবর